নিজস্ব প্রতিবেদন: সরকার বলছে হিসেব নেই। বিরোধীরা বলছে, তা বলে কি মৃত্যু হয়নি! লকডাউনে শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে এবং তা গোটা বিশ্ব দেখেছে। মঙ্গলবার কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী টুইটে ফের এভাবেই সরকারের সমালোচনায় সরব হলেন। গতকাল সংসদে পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর পরিসংখ্যান কেন্দ্র না দিতে পারায়, জোর সমালোচনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মা সোনিয়া গান্ধীর চিকিত্সার জন্য এই মুহূর্তে বিদেশে রাহুল গান্ধী। তাই উপস্থিত ছিলেন না বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনে। এ দিন বিরোধীদের এক প্রশ্নে, লোকসভায় কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার জানান, লকডাউনে কত জন পরিযায়ী শ্রমিক মারা গিয়েছে, তার হিসেব সরকারের কাছে নেই। হিসেব না রাখার পরিকল্পনাও ছিল না। তাই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রশ্নও ওঠে না। 



সরকারের এই মন্তব্যে তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্রও একহাত নিয়েছেন। তাঁর খোঁচা, গতকাল লোকসভায় লিখিতভাবে সরকার জানিয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু, ক্ষতিপূরণের অঙ্ক, কোভিড পরিস্থিতিতে কাজ হারানোর সংখ্যা কেন্দ্রের কাছে নেই। তাই এখনও পর্যন্ত প্রশ্নোত্তর পর্বেরও প্রয়োজন নেই। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, কেন্দ্রের এই মন্তব্যে এর থেকে লজ্জাজনক বিষয় কী হতে পারে! মোদী সরকারের দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় পথে নামতে বাধ্য হয়েছিলেন হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিকরা।



আরও পড়ুন- লাদাখের সর্বশেষ পরিস্থিতি কী, বিরোধীদের চাপে মঙ্গলবার সংসদে বিবৃতি দিতে পারেন রাজনাথ


কেন্দ্রের দাবি, পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর জন্য সরকার যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেছে। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে নিখরচায় ৬৩ লক্ষের বেশি মানুষকে পৌঁচ্ছে দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৪৬১১টি ট্রেন চলেছে। রাজ্যওয়াড়ি ঘরে ফেরা শ্রমিকদের হিসাবও দিয়েছে কেন্দ্র।