ওয়েব ডেস্ক: পঞ্চকুলা হিংসার পর দিন হরিয়ানা সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের। শুক্রবার ডেরা সচ্চা সওদা প্রধান গুরমিত রাম রহিমকে আদালত ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত করার পর তীব্র হিংসা ছড়়ায় পঞ্চকুলা-সহ পঞ্জাব ও হরিয়ানার বিস্তীর্ণ অংশে। হিংসা নিয়ন্ত্রণ করে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা কায়েম রাখতে না পারায় শনিবার হরিয়ানার খট্টর সরকারকে কাঠগড়ায় তুলল পঞ্জাব - হরিয়ানা হাইকোর্ট। আদালতের প‌র্যবেক্ষণ, 'রাজনৈতিক ফায়দার জন্যই পঞ্চকুলা হিংসায় কড়া ব্যবস্থা নেয়নি সরকার।‍'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন - ডেরা কা‌র্যালয় ঘিরে লাখখানেক ভক্ত, তাদের সরে ‌যেতে নির্দেশ সেনার


এক সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণের দায়ে শুক্রবার ডেরা সচ্চা সওদা প্রধান গুরমিত রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করে হরিয়ানার পঞ্চকুলার বিশেষ সিবিআই আদালত। এর পরই শহরের রাজপথে তাণ্ডব শুরু করে কয়েক লক্ষ ডেরা সমর্থক। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় মোটরসাইকেল, গাড়ি। আগুন দেওয়া হয় সরকারি অফিসে। ভাঙচুর চালানো হয় সংবাদমাধ্যমের সম্প্রচার ‌যন্ত্রপাতিতে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় দু‍টি রেল স্টেশন। পুলিশ প্রতিরোধ করলে মৃত্যু হয় ৩২ জনের।


পঞ্চকুলা থেকে হিংসা ছড়ায় পঞ্জাব এমনকী দিল্লিতেও। দিল্লির আনন্দ বিহার স্টেশনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ২টি রেলস্টেশনে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বেশ কিছু জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।


গুরমিত রাম রহিম দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে বিজেপি ও সংঘের একাংশের ঘনিষ্ঠতার অভি‌যোগ উঠতে শুরু করে। বিরোধীদের দাবি, ভোটবাক্স ভরাতে ধর্ষণে অভি‌যুক্তের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। এমনকী বাদ ‌যাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। এদিন আদালতের প‌র্যবেক্ষণ সেই অভি‌যোগেই শিলমোহর দিল বলে মনে করা হচ্ছে।