উবের গাড়িতে চড়ে রাতারাতি বিখ্যাত মুম্বাই কন্যা
অফিস থেকে ফেরার পথে একটি উবের শেয়ার রাইড বুক করেছিলেন মুম্বাই নিবাসী যুবতী হিমানি জৈন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই চলে আসে গাড়ি। যুবক ড্রাইভারের নাম শাহিদ (পরিবর্তীত)। গাড়িতে উঠতেই হিমানি দেখেন ওই গাড়িতেই বসে আছেন আরেক বছর ৩৮-এর মহিলা। গাড়ি কিছু দুর এগোতেই মহিলার সঙ্গে ড্রাইভারের কথা কাটাকাটি শুরু হয় ড্রপিং পয়েন্ট নিয়ে।
ওয়েব ডেস্ক: অফিস থেকে ফেরার পথে একটি উবের শেয়ার রাইড বুক করেছিলেন মুম্বাই নিবাসী যুবতী হিমানি জৈন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই চলে আসে গাড়ি। যুবক ড্রাইভারের নাম শাহিদ (পরিবর্তীত)। গাড়িতে উঠতেই হিমানি দেখেন ওই গাড়িতেই বসে আছেন আরেক বছর ৩৮-এর মহিলা। গাড়ি কিছু দুর এগোতেই মহিলার সঙ্গে ড্রাইভারের কথা কাটাকাটি শুরু হয় ড্রপিং পয়েন্ট নিয়ে।
ড্রাইভার স্পষ্ট বলে দেন যে, ম্যাপে যে রুট রয়েছে তার বাইরে গিয়ে তাঁর পক্ষে কোনও কাস্টমারকে ড্রপ করা অসম্ভব। এদিকে মহিলাও তা মানবেন না। বচসা বাড়তে থাকে। তারপর হিমানি ও ড্রাইভার একযোগে ওই মহিলাকে বোঝানোর ও ঠান্ডা করার চেষ্টা করেন। আর তাতেই ওই মহিলা যান আরও চোটে। তিনি বলেন যে ড্রাইভারকে তিনি থানায় নিয়ে যাবেন হেনস্থার অভিযোগে আর হিমানিকেও যাচ্ছেতাই অপমান করেন।
আরও পড়ুন- নোট বাতিলের জের, ফিরে এল 'দেনাপাওনা'র নিরুপমার স্মৃতি
এদিকে ড্রাইভারও বলেন যে তিনি থানায় যেতে রাজি। সেখানে গিয়েই তিনি পুলিসকে সব খুলে বলবেন। তাই ড্রাইভার হিমানির কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে তাঁকে গাড়ি থেকে নেমে যেতে বলেন এবং অনুরোধ করেন অন্য গাড়ি বুক করে নিতে। হিমানিরও তাড়া ছিল যথেষ্ট, তাই তিনিও ভাবছিলেন নেমে যাবেন বলে। এমতাবস্থায় গাড়ির মধ্যে হৈচৈ দেখে রাস্তায় লোক জমে যায়, তারমধ্যে থেকেই এক মহিলা নিরাপত্তারক্ষী হিমানিকে বলেন, "আপনি দয়া কারে ওদের সঙ্গে থানায় যান, একজন মহিলা অভিযোগ করবে ফলে বেজায় ফেঁসে যাবে বেচারা ড্রাইভার।" একথা শুনে হিমানিও অনুভব করেন যে তাঁর সত্যিই যাওয়া উচিত এবং তিনি ওদের সঙ্গে থানায় যান। থানায় আশানরূপভাবে পুলিসকে বিষয়টি বোঝাতে সক্ষম হন হিমানি ও গাড়ির চালক এবং তিরস্কৃত হন সেই মহিলা।
এর পরই ফেসবুকে নিজের অভিজ্ঞতার কথা লেখেন হিমানি। আর অদ্ভুতভাবে সেই পোস্ট মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়, ৩৯ হাজার রিঅ্যাক্সানস এবং ৬ হাজার ২০০টি শেয়ার হয়। রাতারাতি ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন হিমানি। ঝড়ের মতো আসতে থাকে বন্ধুত্বের আব্দার। যদিও হিমানি জানিয়েছেন এসব কিছু ভেবে তিনি পোস্টটি দেননি, তবে এটা হওয়াতে অনেকে এবিষয়ে সচেতন হবেন এই ব্যাপারটা খুব ভাল লেগেছে তাঁর।
সত্যিই তো, হিমানির মতো মানুষই বেশি করে দরকার আমাদের সমাজে। তাই হিমানিকে উষ্ণ অভিনন্দন জানাচ্ছে চব্বিশ ঘন্টা ডট কমও।