নিজস্ব প্রতিবেদন : একই পরিবারের ৬ জন, সঙ্গে আরও ৩ জন। মোট ৯ জন। মোট ৯ জনকে খুন করেছিল বছর চব্বিশের যুবকটি। তারপর প্রমাণ লোপাট করতে দেহগুলি ফেলে দিয়েছিল কুয়োর ভিতর। তেলেঙ্গানার ওয়ারাঙ্গালের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওয়ারেঙ্গেলের বাসিন্দা মাকসুদ, তাঁর স্ত্রী, ২ সন্তান, মেয়ে বসরা ও তাঁর ৩ বছরের ছেলেকে গত সপ্তাহে খুন করে অভিযুক্ত। একইসঙ্গে বিহারের বাসিন্দা আরও ২ জন ও ত্রিপুরার একজনকেও খুন করে সে। তারপর দেহ লোপাটের উদ্দেশে ফেলে দেয় কুয়োর ভিতর। খুনের ঘটনায় তদন্তে নেমে হাড়হিম হয়ে যায় পুলিসেরও। উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।


তদন্তে পুলিস জানতে পারে, মার্চ মাসের ৬ তারিখে এক মহিলা নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁকেও খুন করেছে অভিযুক্ত। সেই খুনকে ধামাচাপা দিতেই এবার আরও ৯ জনকে খুন করে সে। সোমবার রাতে অভিযুক্ত সঞ্জয় কুমার যাদবকে গ্রেফতার করে ওয়ারেঙ্গেল থানার পুলিস।


জানা গিয়েছে, খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে এদের সবাইকে খুন করে সঞ্জয়। তারপর দেহগুলি ফেলে দেয় কুয়োর ভিতর। ওয়ারেঙ্গেল পুলিসের শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, "একটা খুনকে ধামাচাপা দিতে আরও ৯টা খুন। ভয়ঙ্কর এই ঘটনায় দোষী যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি পায়, তা নিশ্চিত করবে পুলিস।"


প্রসঙ্গত, নিহতদের মধ্যে ৭ জনই একটা ব্যাগ তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। ৪৮ বছরের নিহত মাকসুদ আদতে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ছিলেন। বছর ২০ আগে তিনি পরিবার নিয়ে ওয়ারেঙ্গেলে চলে যান। সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। 


পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহগুলি উদ্ধারের পর প্রাথমিকভাবে গণ আত্মহত্যা সন্দেহ করা হয়েছিল। কারণ দেহগুলিতে সেভাবে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। কিন্তু তারপর দেহগুলির মধ্যে থাকা স্ট্রেচ মার্চসের সূত্র ধরে খুনির সন্ধান পায় পুলিস। জেরায় খুনের কথা কবুল করে ধৃত।


আরও পড়ুন, গভীর রাতে দিল্লিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে ছাই ১৫০০ বস্তি ঘর