মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আজ অনাস্থা প্রস্তাব আনছে ওয়াইএসআর কংগ্রেস-টিডিপি, একজোট বিরোধীরা
অনাস্থা আনার জন্য যে নূন্যতম ৫০ সাংসদ প্রয়োজন তা বিরোধী শিবির যোগাড় করে ফেলতে পারবে। কিন্তু তাতে হবেটা কী
নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবার বড়সড় গন্ডগোলের আশঙ্কা সংসদে। কারণ আজ সংসদে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনছে ওয়াইএসআর কংগ্রেস ও তেলেগু দেশম পার্টি।
অন্ধ্রপ্রদেশের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদার দাবিতে ওই অনাস্থা প্রস্তাব আনছে ওয়াইএসআর কংগ্রেস ও টিডিপি। কংগ্রেস, বাম, আরজেডি ও তৃণমূল কংগ্রেস ওই প্রস্তাবকে সমর্থন করছে বলে জানা যাচ্ছে। ইউপিএ আমলে অন্ধ্রপ্রদেশে ভেঙে অন্ধ্র ও তেলেঙ্গানা হওয়ার সময়ে অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় মনমোহন সিং সরকার। সেই দাবি সম্প্রতি খারিজ করেছে এনডিএ সরকার।
গত সপ্তাহে টিডিপি ও ওয়াইএসআর কংগ্রেসের দেওয়া নোটিশ গ্রহণ করা হয়নি। এর কারণ হিসেবে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অনন্ত কুমার ব্যাখ্যা দেন, সংসদের কাজ ঠিকঠাক চলছে না। তাই ওই নোটিশ গ্রহণ করা হয়নি।
আরও পড়ুন-নাইট অধিনায়কের ব্যাটে 'নাগিন ডান্স', নিদহাস ট্রফি জয় ভারতের
এদিকে টিআরএস ও এআইএডিএমকে বরাবর সরকারের পাশে থাকলেও কয়েকদিন ধরে তারা বেশ কিছু ইস্যুতে লোকসভায় হইহট্টগোল করছে। এই অবস্থায় আজ ওই অনাস্থা প্রস্তাব আনা যাবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।
অন্যদিকে, অনাস্থা প্রস্তাব আনা হলে বিরোধীদের শক্তি কতটা সেটা দেখে নেওয়া যাক। সদ্য এনডিএ থেকে সরে আসা টিডিপির হাতে রয়েছে ১৬ সাংসদ। ওয়াইএসআর কংগ্রেসের হাতে ৯ সাংসদ। তৃণমূলের হাতে ৩৪ সাংসদ। এছাড়াও রয়েছে কংগ্রেসের ৪৮ সাংসদ। ফলে অনাস্থা আনার জন্য যে নূন্যতম ৫০ সাংসদ প্রয়োজন তা বিরোধী শিবির যোগাড় করে ফেলতে পারবে। কিন্তু তাতে হবেটা কী! এই মূহুর্তে বিজেপির হাতেই রয়েছে ২৭৪ জন সাংসদ। ফলে অনাস্থা এনেও খুব বেশি সুবিধা করতে পারবে না বিরোধীরা।