নিজস্ব প্রতিবেদন: মহিলা ক্রীড়াবিদদের সম্মানিত করল জি নিউজ। নয়াদিল্লিতে Zee Fair Play পুরস্কার দেওয়া হল দেশের সফর মহিলা ক্রীড়াবিদদের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যসভার সাংসদ সুভাষ চন্দ্র বলেন, ''মহিলা ক্রীড়াবিদদের পুরস্কৃত করছে জি মিডিয়া। এটা দারুণ ব্যাপার। পুরুষদের থেকে মহিলারা অনেক বেশি শক্তিশালী ও একাগ্র। আমাদের সমাজে মহিলাদের দমিয়ে রাখেন পুরুষরা। আরও বেশি মহিলা ক্রীড়াবিদ যাতে উঠে আসেন, আমরা সেই চেষ্টা চালিয়ে যাব।''         



        


প্রথমেই সম্মানিত করা হল ভারতের টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা। টেনিসের জগত্সভায় দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন হায়দরাবাদের এই তরুণী। মহিলাদের ডাবলসে বিশ্বের একনম্বর হয়েছিলেন সানিয়া মির্জা। ২০০৮ বেজিং, ২০১২ লন্ডন ও ২০১৬ রিও অলিম্পিকে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ইতিমধ্যেই অর্জুন, পদ্মশ্রী, রাজীব গান্ধী খেলরত্ন ও পদ্ম ভূষণ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। সানিয়া মির্জাকে সম্মানিত করেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। 



ব্যাডমিন্টন তারকা সাইনা নেহওয়াল মনে করেন, ''চিনের থেকে কোনও অংশে কম নন ভারতের শাটলাররা। তবে পরিকাঠামো ও মানসিকতার ঘাটতিই পিছিয়ে দিচ্ছে দেশকে। আরও বেশি পরিকাঠামো দরকার।'' তিনটি অলিম্পিকে অংশ নিয়েছেন বিশ্বের প্রাক্তন একনম্বর মহিলা শাটলার ২৮ বছরের সাইনা নেহওয়াল। ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন তিনি। ২৩টি আন্তজার্তিক পুরস্কার রয়েছে সাইনার ঝুলিতে। রাজীব গান্ধী খেলরত্ন, পদ্মভূষণ ও অর্জুন পুরস্কারে তাঁকে সম্মানিত করেছে ভারত সরকার।



প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে International Shooting Sport Federation-এর কম্বাইনড এয়ার রাইফেল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন অব চ্যাম্পিয়নস হয়েছিলেন অঞ্জলি ভাগবত। ২০০২ সালে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে বিশ্বে এক নম্বর ছিলেন তিনি। ২০০৩ সালে মিলানে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন অঞ্জলি। তিনটি অলিম্পিকে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেনয কমনওয়েলথ গেমসে ১২টি স্বর্ণ ও চারটি রৌপ্য পদক জিতেছেন অঞ্জলি ভাগবত। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ৩১টি স্বর্ণ, ২৩টি রৌপ্য ও ৭টি ব্রোঞ্জ পদক রয়েছে অঞ্জলির ঝুলিতে। তাঁকে সম্মানিত করেন প্রকাশ জাভড়েকর। 



প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছেন হরিয়ানার অগরোহির বাসিন্দা, ডিসকাস থ্রোয়ার কৃষ্ণা পুনিয়া। ২০০৬ সালে দোহা এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ ও ২০১০ সালে কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণ পদক পেয়েছিলেন। অলিম্পিকেও অংশ নিয়েছেন পুনিয়া।



সাইনা নেহওয়াল, সানিয়া মির্জাদের রোল মডেল বললেন স্মৃতি ইরানি। 



দীপা মালিকের হয়ে মঞ্চে পুরস্কার নেন মা ও বোন। রিও প্যারাঅলিম্পিক্সে প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে রৌপ্য পদক জেতেন তিনি।



২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে অল্পের জন্য পদক হাতছাড়া হয়েছে বাঙালি জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকারের। অলিম্পিকে জিমন্যাস্টিকে বিভাগে তিনি প্রথম ভারতীয় মহিলা অংশগ্রহণকারী। চতুর্থস্থানে শেষ করেছিলেন আগরতলার এই মেয়ে। যে পাঁচজন সফলভাবে প্রোদুনোভা করতে পেরেছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন দীপা।