নিজস্ব প্রতিবেদন: পাঁচ বছরে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া। রাফাল দুর্নীতির অভিযোগ। অসহিষ্ণুতা। ধর্মীয় মেরুকরণ। সাম্প্রদায়িকতা। একের পর এক অভিযোগে মোদীকে বিদ্ধ করেছেন বিরোধী নেতানেত্রীরা। কিন্তু তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। গোটা নির্বাচনী প্রচারে যেখানেই গিয়েছেন মোদী, সেখানেই শোনা গিয়েছে 'মোদী, মোদী, মোদী' জয়ধ্বনি। সপ্তম তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণের পর একাধিক চ্যানেলের বুথফেরত সমীক্ষাতেও মোদী আর মোদী। সবকটি ইঙ্গিতেই স্পষ্ট, ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী। জি নিউজের মহা এক্সিট পোলের আভাসও তাই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিয়দংশ চ্যানেলের বুথফেরত সমীক্ষাতেই এনডিএ জোট তিনশোর বেশি আসন পেতে চলেছে বলে আভাস। সাড়ে তিনশো আসনের পূর্বাভাস দিয়েছে টুডেজ চাণক্য। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অনেক আগে এনডিএ থমকে যাবে বলে আভাস দিয়েছে নিউজ এক্স-নেটা। তাদের ইঙ্গিত, ২৪২টি আসন পেতে পারে এনডিএ।       



মহা এক্সিট পোলের আভাস, ৩০৮টি আসন পেতে পারে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। অন্যদিকে মাত্র ১১৭টি আসন পেয়ে থাকতে হবে ইউপিএ-কে। অন্য দলগুলি পেতে পারে ১১৭টি আসন। 



গতবার লোকসভা নির্বাচনের আগে বুথফেরত সমীক্ষার আভাস মিলিয়ে দিয়েছিল টুডেজ চাণক্য। তাদের ইঙ্গিত, ৩৫০টি আসন পেতে পারে এনডিএ। ইউপিএ-র ঝুলিতে যেতে পারে ৯৫টি আসন। 



বুথফেরত সমীক্ষার আভাস থেকে একটা ধারণা মেলে। কিন্তু আভাস সবসময় খাটে না। গত লোকসভা ভোটেও চাণক্য ছাড়া বিজেপিকে কেউ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেয়নি। কিন্তু ভোটের ফলপ্রকাশের পর দেখা যায়, ২৭২টি আসন পার করে ফেলেছে গেরুয়া শিবির। আবার কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপিকে এগিয়ে রেখেছিল অধিকাংশ সমীক্ষক। কিন্তু কর্ণাটকে বৃহত্তম দল হলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি মোদীর দল। অতীতে ২০০৪ সালে মুখ থুবড়ে পড়েছিল অটলবিহারী বাজপেয়ীর 'ইন্ডিয়া শাইনিং'। সেবার বুথফেরত সমীক্ষার হিসেবনিকেশ মেলেনি। সরকার গড়েছিল ইউপিএ। এমন উদাহরণ রয়েছে ভুরি ভুরি। অতঃকিম কয়েকদিনের অপেক্ষা। হেস্তনেস্ত হবে ২৩ মে।         


আরও পড়ুন- মহা EXIT POLL 2019: উত্তরপ্রদেশে গেরুয়া দুর্গ অক্ষত, ইঙ্গিত বুথ ফেরত সমীক্ষায়