নিজস্ব প্রতিবেদন: হাওড়ায় জ়োমাটো কর্মীদের প্রতিবাদের প্রতিক্রিয়া জানালেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা দীপেন্দ্র গোয়েল। ওই বিক্ষোভকারী কর্মীদের দাবি সরাসরি খারিজ করে এক ইমেলে জ়োমাটোর কর্ণধার জানান, খাবার, ধর্ম এবং বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁদের কিছু করার নেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, গত শনিবার শুয়োর ও গোমাংস ডেলিভারি জোর করে করানো হচ্ছে বলে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ দেখান হাওড়ার জ়োমাটোর রাইডাররা। তাঁদের অভিযোগ, রাইডারদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে শুয়োর ও গোমাংস ডেলিভারি করানো হচ্ছে। এর প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত ধর্মঘটও ডেকেছেন তাঁরা। এই খবর ছড়িয়ে পড়তে ফের বিতর্ক তৈরি হয়।



এ দিন জ়োমাটোর তরফে জানানো হয়, সম্প্রতি রেট কার্ড পরিবর্তনে ওই কর্মীদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে অসন্তোষ তৈরি হয়। এর সঙ্গে শুয়োর ও গোমাংস ডেলিভারির কোনও সংযোগ নেই। একটি তথ্য দিয়ে জ়োমাটো দাবি করে, ওই এলাকায় গত তিন মাসে একটাও শুয়োরের মাংসের ডেলিভারি হয়নি। গোমাংসের একটি অর্ডার আসলেও, তা পরে বাতিল করে গ্রাহক। অর্থাত্, জ়োমাটোর দাবি অনুযায়ী গত তিন মাসে হাওড়ার ওই এলাকার রাইডাররা শুয়োর বা গোমাংসের কোনও ডেলিভারি করেনি।


আরও পড়ুন- রাজ্যভাগের পর এবার জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা আসন পুনর্বিন্যাসের উদ্যোগ, বৈঠকে নির্বাচন কমিশন



সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বিক্ষোভকারী জ়োমাটো কর্মী মৌসিন আখতার জানান, জোর করে তাঁদের শুয়োর ও গোমাংস ডেলাভারি করানো হচ্ছে। যেখানে হিন্দুরা গোমাংস এবং মুসলিমরা শুয়োরের মাংস ডেলিভারি করতে চান না। কিন্তু জোর করে করানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি জ়োমাটোর মুসলিম ডেলিভারি বয়ের হাতে খাবার নিতে অস্বীকার করেন অমিত শুক্ল নামে এক গ্রাহক। তিনি টুইটে তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে প্রশ্ন তোলেন কেন তাঁকে টাকা রিফান্ড করা হয়নি। ওই গ্রাহকের টুইটের জবাবে সংস্থা জানায়, খাবারের কোনও ধর্ম নেই। এটাই ধর্ম।


জ়োমাটোর এই অবস্থানে সরব হন নেটিজেনদের একাংশ। তাঁদের যুক্তি, হালালের মাংস না পাওয়ায় এক গ্রাহক অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তাঁকে সংস্থা টাকা রিফান্ড করেন। ওই নেটিজেনদের প্রশ্ন, সে সময় কেন জ়োমাট বলছে না, খাবারই ধর্ম। অন্যক্ষেত্রে কেন?