হালাল সরবরাহ করে জোমাটো বলছে খাবারের সঙ্গে ধর্ম মেশায় না: বিজেপি নেতা
জোমাটোর মুসলিম ডেলিভারি বয়ের হাত থেকে খাবার নিতে চাননি মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জোমাটো বিতর্কে এবার সংস্থার বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ আনলেন বিজেপি নেতা বৈজয়ন্ত জয় পান্ডা। তাঁর বক্তব্য, খাবারের সঙ্গে ধর্মের কোনও যোগ বলে দাবি করছে সংস্থা। অথচ হালাল ও জৈন খাবার সরবরাহ করছে তারা। একইসঙ্গে মুসলিম ডেলিভারি বয়ে আপত্তি জানানোর ঘটনাও ন্যক্কারজনক বলে মনে করেন বিজেপি নেতা।
জোমাটোর মুসলিম ডেলিভারি বয়ের হাত থেকে খাবার নিতে চাননি এক গ্রাহক। এরপর জোমাটো তাঁকে জানিয়ে দেয়,'খাবারের কোনও ধর্ম নেই। এটাই ধর্ম।' এদিন বিজেপি নেতা বৈজয়ন্ত জয় পান্ডা বলেন, ভিন্ন ধর্মের ব্যক্তির কাছ থেকে খাবার নিতে চাননি গ্রাহক। তাঁর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে ঠিক করেছে জোমাটো। কিন্তু খাবারের সঙ্গে ধর্মকে তারা মেশায় না বলে যে দাবি করেছে, সেটা ভুল। হালাল ও জৈন খাবার তো বিক্রি করছে সংস্থা। এটা কি সকলের জন্যই করে তারা কারণ শিখরা হালাল মাংস খান না।
তাঁর টুইট নিয়ে সমালোচনা হলে বিজেপি নেতা ব্যাখ্যা দেন, সব ধরনের ধর্মীয় বিভাজনের বিরোধী তিনি। ধর্মীয় ভাবাবেগ মাথায় রেখে জোমাটোর খাবার সরবরাহ নিয়ে আমার কোনও অসন্তোষ নেই। তবে এটা কি তারা সকলের জন্য করে?
মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের বাসিন্দা অমিত শুক্লা জোমাটোতে খাবারের অর্ডার দিয়েছিলেন। তাঁকে খাবার পাঠানোর দায়িত্ব অহিন্দুকে দিয়েছিল জোমাটো। এরপরই অমিত শুক্লা টুইটারে লেখেন, 'হিন্দু রাইডার না দেওয়ায় খাবারের অর্ডার বাতিল করলাম। জোর করে ডেলিভারি দিতে পারেন না। ওরা অস্বীকার করায় রিফান্ডও চাইনি'। এরপরই ওই গ্রাহককে জোমাটো জানায়, 'খাবারের কোনও ধর্ম নেই। এটাই ধর্ম।'
সংস্থার কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে মালিক দীপেন্দ্র গোয়েল জানান, ভারতের মূল ভাবনায় আমরা গর্বিত। এজন্য ব্যবসায় লোকসান হলেও নীতির সঙ্গে সমঝোতা করব না।
আরও পড়ুন- উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত, চাপের মুখে বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারকে দল থেকে তাড়াল বিজেপি