যুবরাজ সিংয়ের বর্ণময় ক্রিকেটিয় কেরিয়ারের সেরা দশ মুহূর্ত
১. ২০০০ সালের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট: খেতাব জয়ের শুরু জাতীয় দলে প্রবেশের আগেই। ২০০০ সালে ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ঘরে তোলে ভারতীয় দল। ঝুলিতে ২০৩ রান এবং ১২ টি উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হন যুবরাজ সিং।
২. ২০০০ সালে জাতীয় দলে অভিষেক: ২০০০ সালে নাইরোবিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে অভিষেক হয় ১৮ বছরের যুবির। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে নামার সুযোগ না পেলেও নিজেকে প্রমাণ করেন পরের ম্যাচে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে ৮০ বলে করেন ৮৪ রান। ২০ রানে সেই ম্যাচ জেতে ভারতীয় দল।
৩. লর্ডসে ন্যাট ওয়েস্ট ট্রফির ফাইনালে ৬৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস যুবরাজের : লর্ডসের বিখ্যাত ন্যাট ওয়েস্ট ট্রফির ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ৩২৬ রানে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় ইংল্যান্ড। এদিকে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত ড্রেসিং-রুমে ফিরে যান সেওয়াগ, সচিন ও রাহুল দ্রাবিড়। এমন সময় ব্যাট হাতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান যুবরাজ। ৯টা বাউন্ডারি আর ১টি ওভার বাউন্ডারিতে ঝোড়ো ইনিংসে খেলে করেন ৬৯ রান। যুবরাজ-মহম্মদ কাইফ জুটি তোলে ১৪৬ রান। ম্যাচটি দুই উইকেটে জিতে নেয় ভারত।
৪. দেশের হয়ে প্রথম শতরান : ভারতে খেলতে আসা বাংলাদেশকে ২০০ রানে হারায় ভারতীয় দল। এই ম্যাচেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম শতরান করেন যুবরাজ সিং।
৫. ৬-এ ছক্কা : ক্রিকেট সম্পর্কে অতি উদাসীন মানুষও জানেন যুবির এই ঐতিহাসিক ওভারের কথা। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ। স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভারের ৬ টা বলে পর পর ৬ টা ছক্কা হাঁকান যুবি। তারই সঙ্গে মাত্র ১২ বলে অর্ধ শতরানের বিশ্ব রেকর্ড গড়েন যুবরাজ।
৬. ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় : সেমি ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩৮ বলে ৭০ রান করে অজিদের বোলিংকে তছনছ করে দেন যুবি। সেমি ফাইনালে অজিদের হারানোর পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ফাইনালেও জিতে নেয় ধোনির ভারত।
৭. পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্টে ১৬৯ রান: ২০০৭ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্টে ৩০০ রানের পাহাড় তৈরি করেন সৌরভ-যুবরাজ জুটি। যুবরাজ ১৬৯ এবং সৌরভ ২৩৯ রান করেন।
৮. ২০১১ বিশ্বকাপ- ম্যান অব দ্য সিরিজ : ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের সাফল্যের নেপথ্যে যুবরাজের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। চারটি অর্ধশতরান এবং একটি শতরান সঙ্গে বল হাতে সাফল্য। বিশ্বকাপ ট্রফি জেতার পাশাপাশি বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটারও হন যুবি।
৯. ক্যানসারের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে ব্যাটিং : ২০১১ সালে বিশ্বকাপের পর পরই ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পরে যুবির। ক্যানসারের টিউমার নিরাময়ে শুরু হয় কেমোথেরাপি। তখনও দমেননি একবারের জন্যও। ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে লড়াই করেন যুবরাজ। জীবনের বাইশ গজেও ব্যাট হাতে সাফল্য। ২০১২ সালের মার্চে ক্যানসারকে হারিয়ে ফিরে আসেন স্বাভাবিক জীবনে।
১০. ক্যানসারকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ২২ গজে প্রত্যাবর্তন: ক্যান্সারের বিরুদ্ধে জয়লাভ করে এক বছরেরই নিজেকে নতুন করে গড়ে তোলেন যুবরাজ। ফিনিক্স পাখির মতো তিনি জন্ম নেন নতুন করে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২ ওভার বল করেন, একটি ক্যাচ নেন এবং ২৬ বলে করেন ৩৪ রান। গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দেন, এভাবেও ফিরে আসা যায়।