আজকের দিনেই ‘বিখ্যাত’ হয়েছিলেন দ্য ভিঞ্চির মোনালিসা!
পাঁচশো বছর আগে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা পোট্রেট মোনালিসা সম্ভবত বিশ্বের সবেচেয়ে আলোচিত একটি চিত্রকর্ম। ফ্রান্সের ল্যুভর মিউজিয়ামে এখনও প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ শুধু মোনালিসার রহস্যময় হাসি দেখতে আসেন।
১৮১৫ সালে প্রথম ফ্রান্সের ল্যুভর মিউজিয়ামে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা পোট্রেট মোনালিসা সর্বসাধারণের দেখার জন্য এনে রাখা হয়।
বিগত বেশ কয়েকশো বছর ধরে বিশ্বের হাজার হাজার মানুষ বিশ্বাস করে আসছেন, দ্য ভিঞ্চির আঁকা এই মোনালিসা আসলে ফ্লোরেন্সের তৎকালীন একজন ধনী সিল্ক ব্যবসায়ীর স্ত্রী লিসা গেরারদিনির প্রোট্রেট।
দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর ধরে (১৫০৩ সাল থেকে ১৫১৭ সাল পর্যন্ত) মোনা লিসার পোট্রেটটি নিয়ে কাজ করেছিলেন লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি। আঁকা শুরু করেছিলেন ইটালির ফ্লোরেন্সে, তারপর শেষ করেছিলেন ফ্রান্সে।
লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা বিখ্যাত এই চিত্রকর্মটির সম্পর্কে বিশ্বের লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ প্রথমবার জানতে পারে ১৯১১ সালে, যখন ফ্রান্সের ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে মোনালিসা চুরি যায়। গোটা বিশ্বের শতাধিক সংবাদপত্রে মোনালিসার চুরি যাওয়ার খবরে ব্যপক তোলপাড় হয়েছিল সে সময়।
উল্লেখযোগ্যভাবে ১৯১১ সালে ফ্রান্সের ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে মোনালিসা চুরি যাওয়ার ঘটনায় সন্দেহভাজনদের তালিকায় ছিল বিখ্যাত চিত্রকর পাবলো পিকাসোর নামও।
ফ্রান্সের একজন গবেষক বিজ্ঞানী পাসকাল কোট মোনালিসা নিয়ে দীর্ঘ দশ বছর ধরে (২০০৪-২০১৪) গবেষণার পর বলছেন, প্রোট্রেটের রহস্যময়ী এই নারী ফ্লোরেন্সের সিল্ক ব্যবসায়ীর স্ত্রী লিসা গেরারদিনি নন, বরং অন্য কেউ ছিলেন।
লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা মোনালিসা সত্যিই অমূল্য! কারণ, ফরাসি ঐতিহ্য আইন অনুযায়ী, মোনালিসা চিত্রকর্মটি কেনা বা বিক্রি করা যাবে না। এটি ফ্রান্সের ল্যুভর মিউজিয়ামের সংগ্রহের অংশ। ল্যুভর মিউজিয়ামে মোনালিসার জন্য নির্দিষ্ট ঘরের তাপমাত্রা সবসময় ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বজায় রাখা হয়।