10 Forgotten Pics of Indians: উল্টে দেখুন অবিস্মরণীয় ইতিহাসের ১০টি হলুদ পাতা...
খুব ছোট থেকেই কেশরবাই কেলকর তাঁর কণ্ঠমাধুর্যের জন্য তাঁর গ্রামে সমাদৃত ছিলেন। গ্রামের লোকজন তাঁর গান শুনতে ভালোবাসতেন। ১৯৩৮ সালে তিনি 'সুরশ্রী' উপাধিতে ভূষিত হন। তাঁর গীত 'ভৈরবী'কে হিন্দুস্থানী রাগসঙ্গীতের অন্যতম উচ্চমানের সৃষ্টি বলে মনে করা হয়। বিঠোফেন ও মোৎজার্টের পরে একমাত্র তাঁরই সঙ্গীত নাসার ভয়েজার ১ মহাকাশে বহন করে নিয়ে যায়।
ব্রিটিশ চেস চ্যাম্পিয়নশিপ খুব মর্যাদাপূর্ণ একটি ইভেন্ট। সেখানে দক্ষিণ এশিয়ার সুলতান খান যখন তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন-- ১৯২৯, ১৯৩২, ১৯৩৪ সালে, তৎন প্রত্যেকে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁকে 'দ্য গ্রেটেস্ট ন্যাচরাল প্লেয়ার অফ মডার্ন টাইমস' বলা হয়।
শকুন্তলাদেবীকে কি এই প্রজন্ম চেনে? তিনি একজন গণিতজ্ঞ। ব্যক্তিত্ব ও মর্যাদাবোধে সদা উজ্জ্বল এই মহিলা হোমোসেক্সুয়ালিটি নিয়ে আস্ত একখানি বইও লিখে ফেলেছিলেন সেই ১৯৭৭ সালে!
ভারতের প্রথম মহিলা সিএ এবং অডিটর হলেন আর. শিবভোগম। মহাত্মার আদর্শে বিশ্বাসী শিবভোগম অতি সাধারণ জীবনযাপন করতেন, খাদি পড়তেন, বাসে যাতায়াত করতেন।
'ইন্ডিয়ান ফাদার অফ গড পার্টিকল' তিনি। তিনি আন্তর্জাতিক, কিন্তু খুব কম ভারতীয়ই তাঁর সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল। পদার্থবিদ্যায় তাঁর অশেষ অবদান। আইনস্টাইনের প্রশংসাও তিনি পেয়েছেন। তাঁদের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি বোস-আইনস্টাইন থিয়োরি খুবই বিখ্যাত একটি তত্ত্ব।
মান্না দে মহম্মদ রফি কিশোর কুমার। গত শতকের বলিউডের ৫-৬-৭ ও ৮-এর দশক জুড়ে হিন্দি গানের জগতে তাঁরা প্রায় ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের মতো প্রতিপত্তিশালী। এই তিন কিংবদন্তি একসঙ্গে একটি গানও গেয়েছিলেন। ১৯৮২ সালের ছবি 'চলতি কা নাম জিন্দেগি'তে একসঙ্গে গেয়েছিলেন এঁরা। সেই বিরল গানটি ছিল-- 'বন্দ্ মুঠ্ঠি লাখ কি খুলি তো পেয়ারে খাক কি'!
রানি সেথুল লক্ষ্মী বাই , ত্রিবাঙ্কুরের নারীবাদী রানি। তাঁর আমলে তিনি মেয়েদের জন্য অনেক চিন্তাভাবনা ও কাাজকর্ম করে গিয়েছেন। পুরুষতান্ত্রিক একটা আবহাওয়ার মধ্যেও সেই সময়ে তিনি ছিলেন অনন্য। মেয়েরা যাতে আইন পড়তে পারে সেই নিয়ে তিনি অনেক চেষ্টা করেছিলেন।
ভারতের সর্বকনিষ্ঠ মহিলা বিপ্লবী তিনি। সুভাষচন্দ্র বসুর দ্বারা তিনি প্রবল ভাবে অনুপ্রাণিত ছিলেন। ভাবনায় তিনি চরমপন্থী ছিলেন? মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি এক অত্যাচারী ম্যাজিস্ট্রেটকে গুলি করার ঝুঁকি নিয়েছিলেন। তাঁর জেল হয়ে যায়। জেল থেকে বেরিয়ে তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। তিনি এমবিবিএস হন।
উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খানকে হিন্দুস্থানী ধ্রুপদী সঙ্গীতের অনন্য প্রতিভা হিসেবে ধরা হয়। এ হেন কিংবদন্তি উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খান এমএস সুব্বুলক্ষ্মীকে একদা বলেছিলেন-- 'তুমি সুব্বুলক্ষ্মী নও, তুমি হলে সুস্বরলক্ষ্মী'। খাঁটি স্বরের দেবী।
রতন টাটা তাঁর প্রথম জামসেদপুর যাওয়ার স্মৃতি কখনও ভোলেননি। একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে রতন টাটা তাঁর সেই সাইট-ভিজিটের কথা উল্লেখ করেছেন। কলেজের ছুটিতে তিনি টেলকো প্ল্যান্টে গিয়েছিলেন এবং প্ল্যান্ট ঘুরে দেখেছিলেন।