কোহলিয়ানার ১০ বছর
২০০৮- অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে জয়। এরপর চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ককে নিজেদের দলে সামিল করে বেঙ্গালুরু ফ্র্যাঞ্চাইজি। সেই থেকে সেই দলেই খেলছেন তিনি। আইপিএল-এ এখনও দলবদল করেননি কোহলি। ওই বছরই ভারতীয় দলে সামিল হন বিরাট। অভিষেক ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিনি করেছিলেন ১২ রান। উল্লেখ্য, বীরেন্দ্র সেওয়াগের চোটের কারণে দলে সামিল করা হয়েছিল তরুণ তারকাকে।
২০০৯- এই বছরে ভারতের হয়ে কেবল ১০টা ম্যাচই খেলেছেন বিরাট কোহলি। তবে ২০০৯ সালেই জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের শতরান অর্জন করেন তিনি। কলকাতার ইডেনে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৩১৬ রান তাড়া করতে নেমে ১০৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন বিরাট।
২০১০- ২৪ ম্যাচে ৯৯৫ রান। গড় ৪৭.৩৮। বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩টি শতরান এবং ৭টি অর্ধশতরান ছিল বর্তমান ভারত অধিনায়কের। ওই বছরই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও অভিষেক হয় তাঁর।
২০১১- বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন ২৩ বছরের বিরাট। বিশ্বকাপে মোট ২৮২ রান-সহ একটি শতরানও ছিল কোহলির। এই বছরই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক করেন বিরাট। ৫ ইনিংসে ‘রান মেশিন’ কোহলি করেছিলেন মাত্র ৭৬ রান। তবে একদিনের ম্যাচে ওই বছর ১৩০০ রান ছিল তাঁর।
২০১২- একদিনের পাশাপাশি টেস্ট ক্রিকেটেও জ্বলে উঠেছিলেন এই বিরাট তারা। অস্ট্রেলিয়া সফর ছিল তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সিরিজ। জীবনের প্রথম টেস্ট শতরানটাও এসেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই। এশিয়া কাপে বিরাটের ধুয়াধার ব্যাটিং ছিল দেখার মতো। ওই সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১৩৩ রান আর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্দে ১৮৩ রানের ইনিংস চিরস্মরণীয় হয়েই থাকবে।
২০১৩- এই বছরই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জীবনের দ্রুততম শতরান অর্জন করেন বিরাট। একটি ছিল ৫২ বলে ১০০ এবং অন্যটি ৬৬ বলে ১১৫। ওই বছরই দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেও রানে ছিলেন বিরাট। লাল বলের ক্রিকেটে আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৯৬ বলে ১১৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন বিরাট।
২০১৪- ইংল্যান্ড সফরে একেবারেই ফেল বিরাট। গোটা টেস্ট সিরিজেই রান পাননি কিং কোহলি। এই বছরই প্রথমবার টেস্ট অধিনায়কত্ব করেছিলেন বিরাট, আর সেই টেস্টেই (মেলবোর্ন) এসেছিল ১৬৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস। ম্যাচ হারলেও বিরাটের রেকর্ড বুকে এটাই এখনও পর্যন্ত তাঁর সেরা ইনিংস।
২০১৫- ধোনির টেস্ট অবসরের পর ভারতীয় দলের ফুল টাইম অধিনায়ক হন বিরাট কোহলি।
২০১৬- টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের জাত চিনিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। সে বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিরাট পুরস্কৃত হয়েছিলেন ম্যান অব দ্য সিরিজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁর রান ছিল ৬৪১। ওই বছরই টেস্ট ক্রিকেটে ১০০ রানের গণ্ডি পেরিয়েছিলেন তিনি।
২০১৭- ধারাবাহিক বিরাটের ব্যাট থেকে এই বছরই এসেছে ১২টি শতরান।
২০১৮- এখনও পর্যন্ত ৯ ম্যাচে ৭৪৯ রান রয়েছে ভারত অধিনায়কের। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও সফল ব্যাটসম্যান বিরাট। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফরে বিরাটের খরার পর এবার ব্রিটিশদের দেশে রানের বর্ষণ করছে তাঁর ব্যাট।