বাড়ির উঠানে সাক্ষাৎ `মৃত্যুদূত`, ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় খাঁচাবন্দি ১৪ ফুটের কিং কোবরা
অধীর রায় : রাতের খাবার তৈরির জন্য জ্বালানি জোগাড় করতে গিয়ে সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখোমুখি হলেন ময়নাগুড়ির রামশাই এলাকার বাসিন্দা ফাগু ওঁরাও। অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছে । রাতের রান্নার জন্য বাড়ির উঠানে মজুত করা জ্বালানি কাঠ আনতে গিয়েছিলেন ফাগু ওঁরাও। কাঠ নাড়াচাড়া করতেই ফোঁস করে ফণা তুলে উঠল ১৪ ফুটের একটি কিং কোবরা।
কাঠ জোগাড় করা তখন ফাগুর মাথায় উঠেছে। বিশাল ফণা দেখে ভিমরি খেয়ে পড়ার জোগাড়। কাঠ ফেলে এক ছুটে ঘরে ঢুকে গিয়ে দরজা আটকে বসেন। ফোন করেন রামশাই রেঞ্জ অফিসে। খবর পেয়ে রেঞ্জ অফিস থেকে যোগাযোগ করে ময়নাগুড়ির নন্দু রায়ের সঙ্গে।
খবর পাওয়ামাত্রই নন্দু রায় তাঁর টিম নিয়ে চলে আসেন ফাগুর বাড়িতে। তুমুল বৃষ্টি মাথায় করে প্রায় ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় অবশেষে খাঁচাবন্দি করা হয় কিং কোবরাকে। ১৪ ফুট লম্বা কিং কোবরা দেখার জন্য বৃষ্টির মধ্যেও ভিড় জমে যায়। বিশালাকার সাপ ধরা পড়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় ময়নাগুড়ির রামশাই এলাকায়।
ময়নাগুড়ি পরিবেশ প্রেমী সংগঠন হিসেবে পরিচিতি আছে নন্দু রায় ও তাঁর টিমের । কিং কোবরা উদ্ধারের পর নন্দু রায় জানান, " রামশাই রেঞ্জ অফিস থেকে খবর পেয়ে আমি টিম নিয়ে চলে আসি। প্রায় ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় আমরা সাপটিকে উদ্ধার করি। এই সিজনে ময়নাগুড়ি ব্লকে প্রথম অক্ষত অবস্থায় কিং কোবরা উদ্ধার করলাম। সাপটিকে গরুমারা প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্রে দিয়ে এসেছি।"
তিনি আরও বলেন, "আমাদের ধারণা গরুমারা জঙ্গল কাছাকাছি হওয়ায় সাপটি জাতীয় উদ্যান থেকে চলে আসতে পারে। তবে এই সময় সাপ সাধারণত দুটি কারণে বের হয়। প্রথমত খাবার সংগ্রহ করতে । দ্বিতীয়ত প্রজননের কারণে। এই নিয়ে আমি মোট ৮টি কিং কোবরা সফলভাবে উদ্ধার করলাম।"