Municipal Election 2022: পুরভোটে ময়নাগুড়িতে `আজব` লড়াই! একই ওয়ার্ডে ভাসুরের বিরুদ্ধে লড়ছে বৌমা
নিজস্ব প্রতিবেদন : জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি পুরসভায় একই ওয়ার্ডে ভাসুর-বৌমার লড়াই! ভাসুর নাকি বৌমা? রায় দেবে জনতা। একই পরিবারে থেকে ভিন্ন রাজনৈতিক দলে, এঘটনা এটাই প্রথম নয়। এরকম উদাহরণ আরও অনেক আছে। তবে একই ওয়ার্ডে একই পরিবার থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই সদস্য? ময়নাগুড়িবাসী এবার রাজনীতির আঙিনায় এরকমই এক 'পারিবারিক লড়াই' প্রত্যক্ষ করতে চলেছে।
ময়নাগুড়ি পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুপ্রিয় দাস। অন্যদিকে ওই ওয়ার্ডেই বিজেপি প্রার্থী আলো দাস সরকার। সম্পর্কে তাঁরা একই পরিবারের ভাসুর-বৌমা। সুপ্রিয় দাসের ভাইয়ের বউ আলো দাস সরকার। এখন ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ক্ষমতা দখলের লড়াই শেষ হাসি কে হাসবেন? ভাসুর না বৌমা? কার পক্ষে রায় দেবে জনতা? শেষ কথা বলবেন ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা-ই।
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ময়নাগুড়ি পুরসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা করেছেন। নেমে পড়েছেন প্রচার অভিযানেও। আর সেখানেই দেখা গেল, যুযুধান দুই দলের হয়ে ভোট চাইতে একই পরিবারের দুই সদস্য। যদিও দুজনেই বলছেন, এই লড়াই শুধুমাত্রই রাজনীতির আঙিনাতেও। পারিবারিক কোনও দ্বন্দ্ব নেই ভাসুর ও বৌমার।
বিজেপি প্রার্থী আলো দাস সরকার বলেন, "লড়াইয়ে হারজিত আছে। তাতে আমার কোনও মাথাব্যথা নেই। আমি মনে করি আগে দেশ। তারপর দল। তারপর ব্যক্তি। পারিবারিক সম্পর্ক অনেক পরে তাই আগে দল। ময়নাগুড়ির ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ আমাকে আশীর্বাদ করবেন। তাঁদের সেবা করার জন্য আমাকে সুযোগ করে দেবেন বলে আমি মনে করি।"
অন্যদিকে ভাসুর তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুপ্রিয় দাস বলেন, "আমি ১০০ শতাংশ আশাবাদী। মমতা ব্যানার্জির উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সকল মানুষ আমাদের পাশে থাকবেন। এবিষয়ে আমরা আশাবাদী। ব্যক্তিগত সম্পর্ক বাড়িতেই আর রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়। তাই লড়াই রাজনৈতিকভাবেই হবে।"