EY Pune Employee Dies | Work Stress: অত্যধিক কাজের চাপে জয়েনিংয়ের ৪ মাসেই মৃত্যু ২৬ বছরের মেয়ের, বসকে চিঠিতে ভয়ংকর কথা শেয়ার মায়ের!

Wed, 18 Sep 2024-1:19 pm,

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অত্যধিক কাজের চাপে জয়েনিংয়ের ৪ মাসেই মৃত্যু ২৬ বছরের তরুণী। EY পুনে, ভারতের ৪ বড় অ্যাকাউন্টিং ফার্মের মধ্যে একটি। সেখানেই কাজ করতেই চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ২৬ বছরের আন্না সেবাস্তিয়ান পেরাইল। মাত্র ৪ মাস আগেই কাজে যোগ দিয়েছিলেন আন্না। পরিবারের দাবি, অত্যধিক কাজের চাপ ও হাড়ভাঙা খাটুনিতেই প্রাণ হারিয়েছে তাঁদের মেয়ে।

 

কোম্পানির সর্বভারতীয় বস রাজীব মেমানিকে চিঠি লিখেছেন আন্নার মা অনিতা অগাস্টিন। কোম্পানির মানবাধিকার লংঘন করে 'ওভার ওয়ার্ককে গ্লোরিফাই' করাকে তীব্র নিন্দা করেছেন করেছেন তিনি। অনিতা লিখেছেন, তাঁর মেয়ে ২০২৩ সালে সিএ পাস করেন। তারপর ২০২৪-এর মার্চে EY পুনেতে এগজিকিউটিভ হিসেবে কাজে যোগ দেন। তাঁর এটা প্রথম চাকরি ছিল। তাই নিজেকে প্রমাণ করতে অক্লান্তভাবে কাজ করে যেত। 

 

কিন্তু এরফলে তাঁর শরীর-স্বাস্থ্য ভেঙে যায়। মেয়ে উত্‍কণ্ঠায় ভুগতে শুরু করে। ঘুম হত না রাতে। কিন্তু কাজ করে যেত। কারণ তাঁর মেয়ে মনে করতেন, কাজ ও ধারাবাহিকতা-ই সাফল্যের একমাত্র চাবিকাঠি। মায়ের অভিযোগ, তাঁর মেয়ের কাজের প্রতি নিষ্ঠাকে 'ব্যবহার' করেছেন তাঁর ম্যানেজার। 

 

অত্যধিক কাজের চাপে অন্য কর্মীরা যখন কাজ ছেড়ে দেন, তখন সেইসব কাজের দায়িত্বও তাঁর মেয়ের কাঁধে দেওয়া হয়। এমনকি প্রায়শই মিটিং রিশিডিউল করে রাতের দিকে রাখতেন। যার ফলে কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরতে মেয়ের অনেক রাত হয়ে যেত। হা ক্লান্ত হয়ে রাতে যখন বাড়ি ফিরত, তখন মাঝে মাঝে পোশাক পরিবর্তন না করেই শুয়ে পড়ত। কিন্তু তারপর রাতেও ফের রিপোর্ট চেয়ে ম্যানেজারের মেইল আসত। মেসেজ আসত। 

 

এমনকি কখনও কখনও রাতে নতুন কাজ দিয়ে সকালের মধ্যেই সেই কাজ শেষ করার ডেডলাইন দেওয়া হত বলেও অভিযোগ মায়ের। বিশ্রাম নেওয়ার কোনও সময়ই দেওয়া হত না। এমনকি তাঁর মেয়ে আন্না যখন এই নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন, তখন তাঁকে এটা বলে বাধ্য করা হয় যে, 'তোমাকে রাতে কাজ করতে হতেই পারে। এটা আমরা সবাই-ই করে থাকি।' 

 

শুধু বেশি রাতে কাজ দেওয়া-ই নয়, উইকএন্ডেও কাজ দেওয়া হত মেয়েকে। তাঁর হার না মানা নাছোড় মেয়ে ডেডলাইন-টার্গেট মিট করার জন্য কাজও করে যেত। তাঁরা বাড়ির লোকেরা না বললেও শুনত না। ভালো কাজ করে ভালো সুযোগ পাবে, এই প্রত্যাশা করেছিল। 

 

যার মূল্য চোকাতে হল জীবন দিয়ে। আন্নার মা জানিয়েছেন, মেয়ের কোম্পানির এক সিনিয়র একবার তাঁর মেয়েকে মজা করে বলেছিলেন যে, ওই ম্যানেজারের অধীনে কাজ করা তাঁর জন্য খুব 'টাফ টাইম' হতে পারে। দুর্ভাগ্যবশত বাস্তবে সেটাই ঘটেছে। 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link