কত আমালের মৃত্যু হলে হুঁশ ফিরবে যুদ্ধবাজদের?

Sat, 03 Nov 2018-6:32 pm,

এক কথায় নিঃস্ব। যুদ্ধ কেড়ে নিয়েছে ঘর, চাকরি, ভালবাসা আর প্রিয়জনের জীবন। পেটে খাবারের কণা মাত্র নেই। কার্যত দুর্ভিক্ষের মুখে ইয়েমেনের প্রায় ৩ কোটি মানুষ।

এর মধ্যে ৮০ লক্ষ মানুষের তো পেটে কোনও খাবারই নেই। ত্রাণ শিবির থেকে যে টুকু মেলে, তাতে একের বেশি পেট চলে না।

 সাত বছরের কঙ্কালসার শিশু আমাল হুসেনের মৃত্যুর পরও কি চোখ খুলবে না যুদ্ধবাজদের। এ ভাবে কত আমালের মৃত্যু হলে হুঁশ ফিরবে তাদের? তাদের দিকে প্রশ্ন ছুড়লেও উত্তর ফিরে আসে না।

সৌদি ও ইরানের পরস্পরের যুদ্ধে ধূলিসাত্ হয়ে গিয়েছে গোটা ইয়েমেন। ঘর ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে কয়েক কোটি মানুষ। কিন্তু তাদের না আছে উপযুক্ত বাসস্থান না কোনও কর্মসংস্থান।

তা হলে কীভাবে দিন গুজরান করছেন তাঁরা? তা হলে চলুন ইয়া হুসেনের অস্থায়ী বাড়িতে। উত্তর ইয়েমেনের নিজেদের গ্রাম থেকে যখন পালিয়ে আসে, তাঁর পাঁচ মাসের সন্তান অপুষ্টিতে মারা যায়।

এখন বাকি ৪ সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে একটি শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন হুসেন। সারা দিনে সন্তানের মুখে কী তুলে দিচ্ছেন হুসেন, জানেন?

 ছবিতেই স্পষ্ট, দারিদ্রের গ্রাসে কীভাবে হারিয়ে যাচ্ছে নিষ্পাপ শিশুরা। তারা খাচ্ছে, নুন-জলে ডুবিয়ে শুকনো রুটি। কোনও দিন বা আঙুর পাতা গরম জলে ফুটিয়ে তার রস। এই ধরনের খাবারকে হালাস বলে। 

আসলাম, হাজ়াজ, ইয়েমেনে হালাস খুবই জনপ্রিয় পদ। কিন্তু দুর্ভিক্ষের সময় এটাই প্রধান খাদ্য হয়ে উঠেছে তাঁদের।

ইয়ামেন সীমান্তে দিনের পর দিন গোলা-গুলি চলায় অল-শাদার গ্রামবাসীরা ঘর ছাড়া হয়েছেন। প্রায় ৩ কোটি মানুষ শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।

ইয়েমেনের আসলাম হেল্থ সেন্টারে অপুষ্টতে ভোগা এক শিশু।   

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link