Sarus Cranes: ফিরে এসো ডানা! এক অনন্য পক্ষীপ্রেমীর লড়াই-কাহিনি
সমীরকুমার সিনহা এই ২০১২ সালে জানতে পারলেন যে, উত্তর প্রদেশের sarus crane, সহজ বাংলায় এক ধরনের বক, তারা বিপন্ন হয়ে পড়েছে। সমীরকুমার সিনহা একজন বন্য়প্রাণ সংরক্ষণবিদ।
এই নন-মাইগ্রেটরি পাখিদের বাসস্থান ক্রমশ সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। নষ্ট করা হচ্ছে বা চুরি করে নেওয়া হচ্ছে এদের ডিম। সমীরকুমার এই ধরনের সংবাদ আরও নানা জায়গা থেকে পেতে থাকলেন। মোটামুটি ১০টি জেলা এবং ২৬টি এনজিও যারা কৃষকদের সঙ্গে যৌথভাবে এই পাখিরক্ষার কাজে যুক্ত তাদের থেকে।
সমীরকুমার জানান, এই জাতীয় সারস সাধারণত ধানক্ষেতে বাসা বাঁধে। পাখিগুলি খড় ও ঘাস দিয়ে বাসা বাঁধে। মোটামুটি ২ মিটার ব্যাসের। আগে চাষিরা ফসলের ক্ষতি হবে ভেবে এই পাখিদের তাড়িয়ে দিতেন। তাঁরা জানতেন না, পাখিদের থেকে তাঁদের ফসলের কোনও ক্ষতি হবে না, কিন্তু তাঁদের এই আচরণে পাখিদের অনেক ক্ষতি।
কিন্তু একটা জায়গায় পাখির সংখ্যা নিয়মিত কমছে এটা জানতে গেলে আগে তো সেখানে কতগুলি পাখি ছিল, সেটা জানতে হয়। কোনও সংরক্ষণমূলক ব্যবস্থা নিতে গেলেও সেটা জানা জরুরি। দেখা গেল সেই হিসেবটাই খুব পরিষ্কার নয়। তবে ডিম যে নষ্ট হচ্ছে সেটা মোটামুটি পরিষ্কার। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে জানা গেল, মোটামুটি ৭০০ পাখিতে এসে ঠেকেছে সংখ্যাটা।
পূর্ব উত্তর প্রদেশের বরবাঁকি, বলরামপুর, ফৈজাবাদ, কুশীনগর, শাহজাহানপুরের মতো জেলাগুলির ৪০ জন কৃষকের কাছে পৌঁছে গেলেন সমীরকুমার। সময়টা ২০১৩ সাল। তিনি তাঁদের সঙ্গে কথা বললেন, সমস্যাটা চিহ্নিত করলেন এবং সংররক্ষণের পথ বাতলে দিলেন। তাঁর এই কাজে তাঁর সহায়ক হল উত্তর প্রদেশ বন দফতর, স্থানীয় কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র, এবং কিছু এনজিও। আর্থিক সাহায্য দিল World Land Trust।
ফলও মিলল। ২০১৭-১৮ থেকেই বদলটা চোখে পড়তে লাগল। প্রায় ১৪,০০০ গ্রামবাসীর সহায়তায় সারসের সংখ্যা বাড়তে লাগল। এখন সেখানে পাখির সংখ্যা ২০০০-এরও বেশি!