ভারতীয় দলে যুবরাজের কামব্যাক হচ্ছে না এই ছয় ক্রিকেটারের জন্যই!
তাঁকে বলা হয় 'কিং অব পঞ্জাব'। ছয় ছক্কার মাসিহাও তিনি। যে কোনও সময়ই ম্যচের মোড় পাল্টে দিতে পারেন একা যুবরাজ। কিন্তু, সবটাই সম্ভব হবে যখন তিনি ফিট থাকবেন এবং তাঁর ব্যাট কথা বলবে। সেটা হচ্ছে না বলেই বারেবারে সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হচ্ছেন যুবি।
৩৬ বছর বয়সী এই তারকা অলরাউন্ডার ভারতের হয়ে শেষ মাঠে নেমেছিলেন ২০১৭ সালের ৩০ জুন। এরপর মরণপন চেষ্টাতেও অপেক্ষা শেষ হয়নি। দলে জায়গা পেয়েছেন সুরেশ রায়না, কিন্তু এখনও তিনি দলে ডাক পাননি। যদিও যুবরাজ কিন্তু প্রত্যয়ী, ২০১৯ বিশ্বকাপ তিনি খেলবেনই।
সুরেশ রায়না- আইপিএলের সেরা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছেন রায়না। তিনি ভারতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার। আউট অব ফর্ম থাকায় দল থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পেয়ে যেভাবে কামব্যাক করেছেন, তাতে নির্বাচকরাও তাঁকে নিয়ে ভাবতে বাধ্য হবে। সুরেশ রায়না শেষ একদিনের আন্তর্জাতিক খেলেছিলেন ২৫ অক্টোবর, ২০১৫।
মণীশ পান্ডে- ২০১৫ সালে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক করেন মণীশ। অল্প সময়ের মধ্যেই দলে নিজের স্থান পাকা করতেও সক্ষম হন এই তরুণ। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শতরান করে দলকে জেতানো, এমন বহু কৃতিত্বই তাঁর ঝুলিতে। তাই ভারতীয় দলের নম্বর চার কিংবা পাঁচের জন্য প্রবল দাবিদার মণীশই।
লোকেশ রাহুল- ভারতীয় দলে শিখর, রোহিতের পর ক্যাপ্টেন কোহলির পছন্দের ওপেনার ইনিই। টেস্ট তো বটেই, একদিনের আন্তর্জাতিকেও এই ক্রিকেটার নির্বাচকদের গুড বুকেই আছেন। রাহানের সঙ্গে প্রতিযোগীতায় রাহুল বরাবরই থেকেছেন কঠিন প্রতিপক্ষ। সেক্ষেত্রে রাহানে, রাহুল দু'জনই দলে থাকলে জায়গা নাও পেতে পারেন ২০১১ বিশ্বকাপের ম্যান অব দ্য সিরিজ।
কেদার যাদব- ভারতীয় দলের এই ব্যাটসম্যান অনেকের মতেই 'ছোটা প্যাকেট বড়া ধামাকা'। মিডল ওভারে এক আধ ওভার হাত ঘোরানোর সঙ্গেই ভারতীয় দলের ফিনিশারের ভূমিকাতেও দেখা যায় কেদারকে। তাঁর সাইড আর্ম স্পিন বোলিং ইতিমধ্যেই বেশ ভাল রকম চর্চায়। যদিও কেদারকে দলে রাখা হয়, ব্যাটিংকে শক্তপোক্ত করতেই। ৪০ ম্যাচে কেদারের সংগ্রহ ৭৯৮। এর মধ্যে রয়েছে কয়েকটি ম্যাচ উইনিং ইনিংসও। কেদার যাদবের স্ট্রাইকরেট ১০৯.০১, গড় ৩৯.৯০।
শ্রেয়স আইয়ার- ভারতীয় দলের নবাগত ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনি অন্যতম। প্রতিভাবান এই ক্রিকেটার বিরাটের অবর্তমানে তিন নম্বরেও ব্যাট করেছেন। ২৩ বছরের শ্রেয়স ২০১৯ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান হয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখেন। এখনও পর্যন্ত ৬টি একদিনের আন্তর্জাতিকে শ্রেয়সের সংগ্রহ ২১০ রান। গড় ৪২।
দীনেশ কার্তিক- ধোনির পরিবর্ত হিসেবে নির্বাচকদের প্রথম পছন্দে থেকেছেন দীনেশ কার্তিক। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান সেভাবে নজর না কাড়লেও ভারতীয় দলের নির্বাচকরা তাঁকে অগ্রাধিকার দিয়েছ। এমনকী, বিরাট কহোলিও তাঁকে একাধিকবার দলে রেখেছেন এবং ভরসা করেছেন। ২০১৯ বিশ্বকাপে দ্বিতীয় উইকেট কিপার হিসেবে ভারতীয় স্কোয়াডে দীনেশ থাকলে যুবরাজের কামব্যাক আরও কঠিন হবে বলেই মত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশের।