Kishore Kumar ছাড়া Madhubala-র জীবনে বাকি ৬ পুরুষ কারা?
একের পর এক সম্পর্কে হাঁপিয়ে উঠেছিলেন মধুবালা। সম্পর্কে থিতু হতে চেয়েছিলেন তিনি। 'চলতি কা নাম গাড়ি', 'হাফ টিকিট' ছবির শ্যুটিংয়ের সময় কিশোর কুমার-এর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মধুবালা। ১৯৬০ সালে কিশোর কুমারের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন অভিনেত্রী। বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমা কাটাতে লন্ডনে উড়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানেই চিকিৎসকরা জানান, মধুবালার হৃৎপিণ্ডে জন্মগত ছিদ্র রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন মধুবালা বড়জোর দুবছর বাঁচবেন। মধুবালার বোন জানিয়েছিলেন, কিশোর কুমার অভিনেত্রীকে তাঁদের কাছে রেখে চলে যান, বলেছিলেন, তিনি প্রায়শই বাইরে থাকেন, তাঁর পক্ষে দেখাশোনা করা সম্ভব হবে না। যদিও মধুবালা কিশোর কুমারের সঙ্গেই থাকতে চেয়েছিলেন। মধুবালার সঙ্গে দুমাসে একবার দেখা করতে আসতেন কিশোর কুমার। ১৯৬৯ সালে মৃত্যু হয় মধুবালার। কিশোর কুমারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে প্রায় ৬ পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মধুবালা। তাঁরা কারা?
মধুবালার জন্ম ও বেড়ে ওঠা দিল্লিতে। পরে অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকে মুম্বইতে থাকা শুরু করেন মধুবালা। শোনা যায়, ছোটবেলায় লতিফ বলে এক প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মধুবালা। তিনি যখন দিল্লি ছেড়ে মুম্বইতে চলে যান তখন লতিফের জন্য একটি লাল গোলাপ রেখে এছিলেন মধুবালা। যেটা ছিল তাঁদের ভালোবাসার চিহ্ন। জানা যায়, মধুবালার দেওয়া গোলাপ সযত্নে রেখে দিয়েছিলেন লতিফ। অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর সেই ফুল তিনি মধুবালার কবরের সঙ্গে দিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রীর প্রথম ভালোবাসা।
মধুবালার প্রেমে পড়েছিলেন পরিচালক কেদার শর্মা। যাঁর 'নেকি অউর বড়ি' ছবিতে অভিনয় করেছিলেন মধুবালা। জানা যায় মধুবালাকে বেশ পছন্দ ছিল কেদার শর্মার। তবে কিদার বয়সে অনেকটাই বড় হওয়ার কারণে মধুবালা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।
পরিচালক কমল আমরোহীর সঙ্গে মধুবালার সম্পর্কের কথা শোনা গিয়েছিল। যিনি কিনা বলিউডের বিগ বাজেটের হরর ফিল্ম 'মহল'-এর পরিচালক ছিলেন। শোনা যায়, কমলের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক নিয়ে মধুবালার বাবারও আপত্তি ছিল না। তবে কমল আমরোহীর দ্বিতীয়া স্ত্রী হওয়াতে আপত্তি ছিল মধুবালার। তিনি কমলকে প্রথমা স্ত্রী মীনা কুমারী-কে তালাক দেওয়ার জন্য জোর করেন। তবে তাতে কমল আমরোহী রাজি ছিলেন না।
মধুবালার সঙ্গে প্রেমনাথ-এর পরিচয় হয়েছিল 'বাদল'-এর শ্যুটিং সেটে। ততদিনে মধুবালা সুপারস্টার হয়ে গিয়েছেন। তবে ৬ মাসের বেশি তাঁদের সম্পর্ক টেকেনি। শোনা যায়, মধুবালা নিজেই প্রেমনাথের থেকে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেন। তবে মধুবালার বোনের কথায়, ধর্মীয় কারণে মধুবালা-প্রেমনাথের সম্পর্ক ভেঙেছিল।
বলিউডে একসময় অন্যতম চর্চিত বিষয় ছিল দিলীপ কুমারের সঙ্গে মধুবালার প্রেম। যেটা শুরু হয়েছিল ১৯৫১ সালে 'তারানা' ছবির শ্যুটিং সেট থেকে। টানা ৯ বছর ধরে সম্পর্কে ছিলেন তাঁরা। তবে দিলীপ কুমার-মধুবালার সম্পর্কে ইতি ঘটে 'মুঘল-ই আজম'-এর শ্যুটিংয়ের সময়। তাঁদের বাগদান হয়ে গিয়েছিল বলেও জানা যায়। তবে মধুবালার বাবা কারণেই নাকি সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল বলে শোনা যায়। মধুবালার বোন জানিয়েছিলেন, দিলীপ কুমার বলেছিলেন, ''বাবাকে ছেড়ে এলে আমি তোমাকে বিয়ে করতে প্রস্তুত।'' তবে মধুবালার দিলীপকে বলেছিলেন, ''বাড়িতে এসে তাঁর বাবার কাছে ক্ষমা চাইতে''। শুধুমাত্র ইগো-র কারণে শেষ হয়ে যায় দিলীপ কুমার-মধুবালার প্রেম।
৫-এর দশকের শেষের দিকে মধুবালার জীবনে এসেছিলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকর আলি ভুট্টো। যিনি কিনা ছিলেন পাকিস্তানের নবম প্রধানমন্ত্রী। তবে সেসময় জুলফিকর ছিলেন বোম্বে হাইকোর্টের আইনজীবী। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক ছিল। মুঘল-ই-আজম-এর শ্যুটিংয়ের সময় প্রায়ই ছবির সেটে পৌঁছে যেতেন জুলফিকর। শোনা যায়, মধুবালার সঙ্গে তিনি ফ্লার্ট করতেন।এমনকি অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রায়ই লাঞ্চ করতেও যেতেন তিনি। তবে মধুবালা তখনও দিলীপ কুমারের সঙ্গে বিচ্ছেদের বেদনা থেকে বের হয়ে আসতে পারেননি।