Dying Illegal: আজব দুনিয়া! মরলেও `কেস` খেতে হয় যেখানে...
ব্রাজিলের বিরিতিবা মিরিম। সাও পাওলোয় অবস্থিত। এখানে মাত্র ৫০,০০০ টি কবরস্থান। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়লে স্থানাভাব অবশ্যম্ভাবী। কী হবে? দিলেন সেখানকার এক মেয়র নিয়ম ঠুকে। বললেন, এখানে মরা বেআইনি। সময়টা ২০০৫ সাল। তিনি জানালেন, যদি কোনো পরিবারের কেউ মারা যান তবে সেই 'অপরাধে' জেল পর্যন্ত হতে পারে মৃতের পরিবারের সদস্যদের।
জাপানের শুকুসিমা ইউনেসকোর হেরিটেজ সাইট। এটি খুবই পবিত্র ভূমি হিসেবে স্বীকৃত। এই ভূমি দেবতাদের প্রতি উৎসর্গীকৃত। ১৯৭৮ সাল থেকে এই ভূমিতে জন্ম বা মৃত্যু নিষিদ্ধ। এখানে কোনও হাসপাতাল এবং কোনও সিমেট্রিও নেই।
স্পেনের লানজারোঁ। এখানে কবরস্থানে তিল ধারণের জায়গা নেই। ১৯৯৯ সাল থেকে এখানে নাকি মৃত্যু নিষিদ্ধ। আসলে এটা কেউ নিশ্চিত করেনি। কেউ বলে এ নিছক রসিকতা, কেউ বলেন রাজনৈতিক ফতোয়া। তবে পরবর্তী কালে এখানে নতুন গ্রেভইয়ার্ড তৈরি করা হয়।
লে লাভানডৌ। ফ্রান্সের এই জায়গাটি ছবির মতো সুন্দর। এখানকার সিমেট্রিটিও পরিপূর্ণ। তাই ২০০০ সালে এখানে একটি আইন পাস হয়েছিল, কেউ প্লিজ এই টাউনে মরবেন না! আজব ব্যাপার!
নরওয়ের লঙইয়ারবিয়েন একটি ছোট্ট টাউন। খনি অঞ্চল হিসেবে বিখ্যাত জায়গা এটি। এটি আর্কটিক সার্কেলের খুব কাছেই। ফলে আবহাওয়া অতি ঠান্ডা। তাপমাত্রা প্রায় হিমাঙ্কের কাছে। সেখানে পার্মাফ্রস্টে মৃতদেহ সংরক্ষিত হয়। কিন্তু এর জেরে মৃতদের থেকে নানা রোগ জীবিতদের সংক্রমিত করে। এটা রুখতে সেখানে হঠাৎই ফতোয়া জারি করা হয়-- মৃতদের সমাহিত করা যাবে না অতএব এখানে মরা চলবে না!
ফ্রান্সের সারপৌরেনক্সের মেয়র ২০০৮ সালে একটা নিয়ম করলেন, সেখানে কারও মরবার অধিকার রইল না। একমাত্র তিনিই মরতে পারেন যাঁকে সমাহিত করার জমি আগে থেকেই ব্যবস্থা করা রয়েছে। এই নিয়ম ভাঙলে অবধারিত শাস্তি।
দক্ষিণ ইটালির একটি জায়গা এই সেলিয়া। এখানকার ৬৫ শতাংশ জনগণেরই বয়স ৬৫-র উপর। এখানে মৃত্যু তো দূরের কথা, অসুস্থ হওয়াই নিষেধ। এই নির্দেশের জেরে সেখানকার নাগরিকদের বাধ্যতামূলক ভাবে সুস্থ থাকতে হয়েছিল।