রেস্তরাঁয় জন্ম, নবজাতককে মালিকের গিফট ‘আজীবন ফ্রিতে খাবার`
সদ্যোজাতর জন্ম হল এক রেস্তরাঁয়! তাই মজা করে রেস্তরাঁও প্রচার শুরু করেছে, “আমরা শুধু খাবার ডেলিভারি করি না, শিশু ডেলিভারিতেও সাহায্য করি।” অবাক হচ্ছেন! এমন কাণ্ড ঘটার পর খোদ সদ্যোজাতর মা-বাবাও সেই ঘোর কাটিয়ে উঠতে পারেননি। রেস্তরাঁয় ডেলিভারি হল কীভাবে?
গত ১৭ জুলাইয়ের রাতের ঘটনা। ফেসবুকে সেই দিনের ভয়ঙ্কর রাতের গল্প শুনিয়েছেন নবজাতকের বাবা। কী সেই গল্প? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বাসিন্দা রবার্ট গ্রিফিন জানাচ্ছেন, হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী ম্যাগিকে। কথা ছিল, এক বন্ধুর কাছে তাঁর মেয়েদের রেখে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন স্ত্রীকে।
গ্রিফিনের বন্ধু জানায়, চিক-ফিল-এ নামে এক রেস্তরাঁয় দেখা করে মেয়েদেরকে নিয়ে যাবেন তিনি। সেই পরিকল্পনা করেই রাস্তায় বেরিয়েছিলেন গ্রিফিন। মাঝ পথেই প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয় ম্যাগির।
বন্ধুর সঙ্গে রাস্তায় দেখা হয়ে যাওয়ায় তাঁর গাড়িতে মেয়েদের তুলে দেন গ্রিফিন। মেয়েদের বিদায় দিয়ে যখন নিজের গাড়িতে ফিরলেন, সিটে তাঁর স্ত্রী নেই! ভয় হয় গ্রিফিনের। খোঁজ শুরু করেন তিনি।
সামনেই চিক-ফিল-এ রেস্তরাঁ। রাত ১০ টা বেজে যাওয়া রেস্তরাঁ প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে। ম্যাগি ওই রেস্তোরাঁর টয়লেট ব্যবহার করার অনুরোধ জানিয়ে ইতিমধ্যেই ভিতরে প্রবেশ করেছেন। সেখানে ম্যাগির প্রসব যন্ত্রণা আরও বাড়ে।
ওই রেস্তরাঁর টয়লেট গিয়ে গ্রিফিন দেখেন তাঁদের সন্তানের মাথা কিছুটা বাইরে এসে গিয়েছে। গ্রিফিন সিদ্ধান্ত নেন রেস্তরাঁতেই প্রসব করাতে হবে ম্যাগিকে। নতুন তোয়ালে, প্রাথমিক মেডিক্যাল সরঞ্জাম আনার জন্য দোকানের কর্মীদের ৯১১ নম্বরে ফোন করার অনুরোধ করেন তিনি।
তবে সেই অপেক্ষায় ছিলেন না গ্রিফিন। নিজের জামাটাই তখন তোয়ালে হিসাবে ব্যবহার করেন। ম্যাগি এবং গ্রিফিনের প্রবল সাহসিকতায় সেই দিন ভূমিষ্ঠ হয় ওই কন্যা শিশু। আর তাঁদের আন্তরিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রেস্তরাঁর কর্মীরাও। ওই সদ্যোজাতকে অভিনব উপহারও দেয় রেস্তরাঁর মালিক। কী সেই উপহার? সদ্যোজাতকে সারা জীবন বিনামূল্য খাবার পরিষেবা দেবে এই রেস্তরাঁ।