পাসপোর্টের তথ্য যাচাইয়ের নামে বধূর শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার
নিজস্ব প্রতিবেদন: পাসপোর্টের তথ্য ভেরিফিকেশন করতে গিয়ে গৃহবধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যমগ্রামে।
মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা ওই গৃহবধূ ও তাঁর স্বামী পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাঁর স্বামীর ঠিকানায় সমস্যা থাকায় বাতিল হয় আবেদন।
আবেদন বাতিল হওয়ার পর ভেরিফিকেশনে আসা সিভিক ভলান্টিয়ার ফিরোজ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই গৃহবধূ। অভিযোগ, এরপর বাড়িতে এসে ভেরিফিকেশনের নামে ওই মহিলার শ্লীলতাহানি করে ফিরোজ।
নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তাঁরা পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন। ফিরোজ হোসেন বাড়িতে এসে ভেরিফিকেশন করে চলে যান। থানায় নথি জমা দেন। কিন্তু ঠিকানা সংক্রান্ত জটিলতায় আটকে যায় স্বামীর পাসপোর্ট।
গৃহবধূর কথায়,''স্বামীর পাসপোর্ট আটকে যাওয়ার পর ফিরোজকে কল করি। উনিই বাড়িতে আসেন। বাড়িতে আসার পর স্বামীকে ফটোকপি করার নাম করে বাইরে পাঠিয়ে দেন। ১০ মিনিট বাইরে ছিলেন স্বামী। সেই সুযোগে হাত ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন উনি।''
কিন্তু তখনই শোরগোল করেননি ওই গৃহবধূ। বরং হোয়াটসঅ্যাপে ফিরোজের সঙ্গে কথা বলে তাঁর মুখ দিয়েই সমস্ত কিছু বলিয়ে নেন। ওই গৃহবধূ বলেন,''তখন চেঁচামেচি করলে প্রমাণ দিতে পারতাম না। আমার স্বামী আসে। তাঁকে সবটা খুলে বলি। আমার স্বামী ও আমি মিলে শয়তানকে জব্দ করার পরিকল্পনা করি। হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলি।''
আর হোয়াটসঅ্যাপেই গৃহবধূর সঙ্গে নিজের দোষ কবুল করে নেন ফিরোজ।
নির্যাতিতার সাহসের প্রশংসা করে দোষীর কড়া শাস্তি চেয়েছেন মধ্যমগ্রাম পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান প্রকাশ রাহা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।