Maidaan: পিকে-চুনীর ম্যাজিকে মাত কলকাতা, ২০০ কচিকাঁচাকে ময়দান দেখালেন ক্রীড়া উদ্যোগপতি
অর্কদীপ্ত মুখোপাধ্যায়: ১৯৬২ সালে জাকার্তায় এশিয়ান গেমসে ভারতের সোনা জয় ভারতের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম ঘটনা বলা যায়। পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়, চুনী গোস্বামী থেকে তুলসীদাস বলরাম সকলেই যেন ভারতের ফুটবল ইতিহাসের স্বর্ণালী অধ্যায়।
সর্বোপরি তৎকালীন কোচ রহিম সাহেবের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি একার হাতেই বলতে গেলে বদলে দিয়েছিলেন ভারতীয় ফুটবলের মানচিত্র।
এই গৌরবজনক অধ্যায়কে কেন্দ্র করেই সদ্য বলিউডে তৈরি হয়েছে অজয় দেবগন অভিনীত 'ময়দান' ছবিটি। অতীতের সেই সোনালী অধ্যায় এখন দেখা যাবে রূপালি পর্দায়। এবার সেই অধ্যায় কি আরও স্মরণীয় করে রাখতে আইএফএ বা ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এক বিশেষ উদ্যোগ নিল।
আইএফএ-র সঙ্গে গাটছড়া বেঁধে এই উদ্যোগে সামিল হলেন ক্রীড়া উদ্যোগপতি শতদ্রু দত্ত। বাংলার অতীত বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ফুটবলারদের এক জায়গায় এনে এই বিশেষ ছবিটি দেখানোর বন্দোবস্ত করা হল।
প্রায় দেড়শ থেকে ২০০ বাচ্চাকে এই বিশেষ সিনেমাটি দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। শতদ্রু দত্ত বলেন যে এই সিনেমা ভবিষ্যত প্রজন্মের ফুটবলার যারা হতে চান তাদের আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করবে। পঞ্চাশের দশকে বা ষাটের দশকে ভারতীয় ফুটবলের যে সোনার অধ্যায় ছিল সেটা অনেকেই জানেন না যারা বর্তমানে ফুটবল খেলছেন।
সেই তরুণ প্রজন্মকে ফুটবলের স্বর্ণালী অধ্যায় জানাতে এবং তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস গেঁথে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি এবং আইএফএ একযোগে। শতদ্রুর দত্তের মতে সবার আগে প্রয়োজন মানসিকতার বদল তাহলেই সম্ভব উন্নতি। প্রসঙ্গত, শতদ্রুর হাত ধরেই ভারতীয় ফুটবলে পেলে, মারাদোনা, রোনাল্ডিনহো, কাফু, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ-সহ একাধিক তারকা এসেছেন কলকাতায়।