দীর্ঘ ৭ বছরে নির্ভয়ার লড়াই, রইল এক ঝলকে
এরপর ফের ফাঁসির দিন পিছিয়ে ধার্য হয় ২ মার্চ, ফের পিছিয়ে গিয়ে পুনরায় ২০ মার্চ দিন ঠিক হয়। শেষপর্যন্ত ২০ মার্চ ২০২০-র ভোর সাড়ে পাঁচটায় ফাঁসি হয় নির্ভয়া গণধর্ষণ ও খুনের দোষী ৪ জনের। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই ফাঁসি হয় দোষীদের। শেষ রাতে খাওয়া দাওয়া প্রত্যাখ্যান করে ৪ দোষী। ৪.৫০-এ চার দোষীকে স্নান করানো হয়। ৪.৫০-এ ফাঁসির মঞ্চ তৈরি হয়। ৫.২০ তে দোষীদের ফাঁসির মঞ্চে আনা হয়। সাড়ে পাঁচটায় ফাঁসি দেওয়া হয় চারজনকে
৭ জানুয়ারি, ২০২০: পাতিয়ালা হাউজ কোর্ট রায় দেয় ২২ জাুয়ারি ফাঁসি দেওয়া হবে চার অপরাধীকে। ১৭ জানুয়ারি ২০২০ বিনয় এবং মুকেশের রায় সংশোধনের আর্জি খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট, ফাঁসির পরবর্তী দিন ধার্য হয় ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০।
১৩ মার্চ, ২০১৪: দিল্লি হাইকোর্টে নিম্ন আদালতের রায় বহাল। ২০ ডিসেম্বর, ২০১৫: নাবালককে ৩ বছরের সাজার মেয়াদ শেষে মুক্তি দেওয়া হয়। ৫ মে, ২০১৭: ফাঁসির সাজা বহাল থাকে সুপ্রিম কোর্টে। ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯: অক্ষয় কুমারে ফাঁসির পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ হয়ে যায় সুপ্রিম কোর্টে
২ জানুয়ারি, ২০১৩: ধর্ষণ মামলার জন্।য দেশে প্রথম ফাস্ট ট্রাক কোর্ট গঠন করা হয় দিল্লিতে। ৩ জানুয়ারী: নির্ভয়া গণধর্ষণ ও খুনের মামলার চার্চশিট পেশ করে পুলিস। ১১ মার্চ: তিহাড় জেলেই আত্মহত্যা করে রাম সিংহ। ৩১ অগাস্ট: জুভনাই বোর্ড ধর্ষণ ও খুনে দোষী সাব্যস্ত করে নাবালক আসামীকে , ৩ বছর হোমে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয় তাকে। ১৩ সেপ্টেম্বর: রাম সিংহ, তার ভাই মুকেশ, বিনয় শর্মা, পবন গুপ্তকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়।
১৬ ডিসেম্বর, ২০১২: দিল্লিতে চলন্তবাসে গণধর্ষণের শিকার হয় নির্ভয়া, চলে নির্মম অত্যাচার। ১৮ ডিসেম্বর, ২০১২: বাসচালক রাম সিংহ, তার ভাই মুকেশ, বিনয় শর্মা, পবন গুপ্ত-সহ চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ২১ ডিসেম্বর, ২০১২: নাবালক অভিযুক্তকে দিল্লির একটি বাস টার্মিনাস থেকে আটক করা হয়। ২২ ডিসেম্বর: বিহার থেকে গ্রেফতার করা হয় আরও এক অভিযুক্ত অক্ষয় ঠাকুর। ২৭ ডিসেম্বর,২০১২: নির্ভয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে। ২৯ ডিসেম্বর: জীবন যুদ্ধে হার মানে নির্ভয়া, মৃত্যু হয় তাঁর।