বাড়িতে দুই দিদি বসে, প্রেমিকার কথায় ছেলে বিয়ে করতে পাগল! মেয়েদের মুখের দিকে তাকিয়ে বাবা যা করল...
বাড়িত দুই বিবাহযোগ্য দিদি রয়েছে, তাঁদের এখনও বিয়ের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি৷ তারমধ্যে ছোটো ভাই হয়ে কীভাবে বিয়ে করে নেবে আগে! মেনে নিতে পারেননি ছেলের বাবা৷ ছেলেকে একাধিকবার বারণ করেছিলেন, বকেছিলেন, শাসন করেছিলেন, কিন্তু প্রেম কী আর বারণ মানে!
কালনার পূর্বস্থলীর হামিদপুরের বছর একুশের আলিম উদ্দিন শেখও সেই বারণ মানেনি৷ বাবা বলেছিলেন, “আগে দিদিদের বিয়ে হবে, তারপর তোরটা ভাবব৷” দেখা করতে মানা করেছিলেন, তাই ফোনেই প্রেমিকার সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে গিয়েছিল আলিম৷
‘বিয়ে করব বলে’ বাড়িতে চাপ দিতেও শুরু করে৷ অশান্তি শুরু হয় বাড়িতে৷ ছেলেকে বারবার বুঝিয়েও লাভ হয় না৷ বাবার মনে ধারণা হতে থাকে, “ওই মেয়েই বুঝি ছেলের মাথাটা খাচ্ছে৷”
শনিবার সন্ধ্যাতেও এই নিয়ে ছেলের সঙ্গে বাবার অশান্তি হয়৷ রাতে সক্কলে ঘুমিয়ে যাওয়ার পর ছেলের পেটে চাকু ঢুকিয়ে খুন করে বাবা আবদুল শেখ৷ এই ঘটনায় স্তম্ভিত সকলেই৷ পূর্বস্থলী থানার পুলিস রক্তমাখা চাকুটি উদ্ধার করেছে৷
ঘটনার পর থেকে বাকরুদ্ধ গোটা পরিবার৷ আকস্মিকতার রেশ কাটিয়ে উঠতে পারছেন না প্রতিবেশীরাও৷