কফি হাউসের সেই আড্ডাটা এ বার নিউটাউনেও!
নিজস্ব প্রতিবেদন: নিউটাউন পেয়ে গেল আনকোরা নতুন একটি কফি হাউস।
এর ফলে এক ধাক্কায় নিউ টাউনের কৌলীন্য যেন অনেকটাই বেড়ে গেল।
মাত্র কয়েকদিন হল খুলেছে এটি। 'গ্রেটার কলকাতা'র মানুষজন দারুণ উপভোগ করছেন এটি।
কফি হাউস মানেই বাঙালিয়ানা। কফি হাউস মানেই ভরপুর সংস্কৃতি! কফি হাউস মানেই সিনেমা-কবিতা-রাজনীতি। কফি হাউস মানে সত্যজিৎ-সুনীল-বিনয়-তুষার।
কফি হাউস মানে গৌরীপ্রসন্ন, মান্না দে। সুপর্ণকান্তির দারুণ পরীক্ষামূলক সুরে 'লা-লা-লা-লা'র স্মার্ট মুখড়ায় শুরু হওয়া মান্না দে'র সেই কালজয়ী 'কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই' আজও বাঙালিকে নস্টালজিক করে।
ঐতিহ্যের উদযাপনের এই আসরে নতুন হলেও তাই পুরনো কফি হাউসের সমস্ত এসেন্স রেখেই তৈরি করা হয়েছে এটি।
সেই মেঝে, সেই আলো-আঁধারি, সেই ঘ্রাণ, সেই চার্ম।
তবে ঐতিহ্যের আস্বাদে নতুন সংযোজনও আছে।
নতুন ধরনের ওয়াল পেইন্টিং রয়েছে। দেওয়াল-জোড়া রঙিন কার্টুন! রয়েছে এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেম।
আর আছে একটি লাইব্রেরি! খাঁটি কলকাতার কোনও কফি হাউসেই লাইব্রেরি নেই।
নিউটাউন কফি হাউসে যাঁরা কফি পান করতে আসবেন, তাঁদের জন্য এ অবশ্যই একটা নতুন ভেঞ্চার-পয়েন্ট। কফিকাপে চুমুক দিতে দিতেই বাঙালি উল্টে নিতে পারবে তার প্রিয় কবির প্রিয় কোনও কবিতা।
কলেজস্ট্রিট কফি হাউসের মতোই দু'টি তলা। এসি থাকলেও অবশ্য রাখা হয়েছে বড় বড় পাখা। আর দোতলা থেকে পাখার ব্লেডের ফাঁক দিয়ে নীচের ফ্লোরের ছবি একেবারে যেন সেই ভিন্টেজ কফি হাউস!
মেনু কার্ডেও ঐতিহ্যের ছোঁয়া। পুরনো সমস্ত মেনুই থাকছে। তবে যোগও হয়েছে কিছু কিছু নতুন আইটেম। কিছু কিছু আইটেমের মেকিংয়েও এসেছে আরও একটু সূক্ষ্মতা।
ওয়েটারেরা সেই সাদা টুপি আর সাদা পোশাক পরেই পরিবেশন করছেন।