সারা শরীরে খোদাই করে লেখা রাম-নাম, শরীরই রাম-মন্দির এই সম্প্রদায়ের

Wed, 05 Aug 2020-5:43 pm,

সারা শরীরে খোদাই করে লেখা রামনাম। এমনকী, সারা মুখেও রামের নাম লেখা। এমন আজব কাজের জন্য তাঁদের ছেলে-মেয়েদের ভাল স্কুলে ভর্তি নেয় না। এই সম্প্রদায়ের যুবক-যুবতীদের চাকরিক্ষেত্রেও সমস্যা হয়। তবুও রামের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কে ছেদ পড়ে না। ছত্তিশগড়ের রামনামী সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে শরীরই মন্দির। তাঁদের আর রাম মন্দিরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।

মূর্তি পুজো করেন না এই সম্প্রদায়ের মানুষ। রামনামীরা মন্দিরেও যান না। নিজেদের শরীরে তো বটেই, বাড়ি-ঘরের দেওয়ালে, দরজা, জানালা, আসবাবপত্রেও রামনাম লিখে রাখেন তাঁরা। রামে পুজো করেন না এঁরা। কোনও টিকাও লাগান না। তবুও রামভক্তিতে সবার আগে।  

কেন এই সম্প্রদায়ের এমন রাম ভক্তি! এই সম্প্রদায়ের এক বয়স্ক ব্যক্তির মতে, কোনও এক সময় রামনাম করাতেই তাঁদের পূর্বপুরুষরা ভয়ঙ্কর নৌকাডুবি থেকে বেঁচে যান। সেই থেকেই সারা শরীরে রামনাম লিখে নেন তাঁরা। যাতে প্রভু সব সময় তাঁদের সঙ্গেই থাকেন। আরেক বয়স্ক ব্যক্তি আবার বলেছেন, তাঁরা দলিত বলে মন্দিরে প্রবেশাধিকার ছিল না। তাই রামনাম শরীরে লিখে ফেলেন তাঁরা। শরীরই মন্দির। 

অনেকে বলেন, ১৮৯০ সাল নাগাদ পরসরাম নামের এক দলিত যুবকের হাত ধরে এই সম্প্রদায়ের শুরু হয়। এখন এই সম্প্রদায়ের ৪০০-৫০০ জন মানুষ রয়েছেন ছত্তিসগঢ়ে। 

রামনামীদের নতুন প্রজন্ম অবশ্য আর সারা শরীরে রামের নাম লেখাতে চায় না। তবে তাঁদের পূর্বপুরুষদের প্রত্যেকের শরীরে খোদাই করা রয়েছে রামের নাম। এই সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেকেই অযোধ্যায় গিয়েই শরীরে রামনাম খোদাই করেছিলেন। আজ রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর দিনে তাঁরা ভজনে মাতবেন। তবে তাঁদের মধ্যে একজন আবার জানালেন, মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়ে দলিতদের কোনও লাভ হল না। আগে রামলালা বাইরে থাকতেন। দর্শন করা যেত সহজেই।  এবার থেকে উনি মন্দিরে প্রতিষ্ঠা পেলেন। অর্থবান ও ব্রাক্ষ্ণণরাই তাঁর দর্শনে অগ্রাধিকার পাবে।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link