রঙে লাল, রক্তে লাল
বাশার আল-আসাদের পদত্যাগ চেয়ে শুরু হয় আন্দোলন। যা প্রতিহত করতে রাষ্ট্রক্ষমতার অপব্যবহার শুরু করেছেন সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি আসাদ। এই বসন্তেই 'স্বাধীনতা' চায় সিরিয়া।
সিরিয়া যুদ্ধের কারণ- বেকারত্ব, দুর্নীতি, মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ, রাজনৈতিক স্বাধীনতায় রাষ্ট্রের বাধা। সিরিয়ায় এখন বাশার আল-আসাদের 'একনায়কতন্ত্র' চলছে। এই বসন্তে বারুদের গন্ধে ভারী সিরিয়ার বাতাস। আর এই বসন্তেই ভারতের আকাশে বাতাসে মিশেছে রঙের অণু-কণা। সকলের মনে এখন বসন্ত এসে গেছে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রপতির দাবি, আমেরিকা থেকে মদত পেয়েই তাঁর দেশে আক্রমণ হানছে বিভিন্ন বৈদেশিক শক্তি। বিরোধীদের পাল্টা দাবি, আসাদের অপশাসনের বিরুদ্ধেই অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছে জনতা। সিরিয়ায় চলছে বন্দুকের লড়াই।
এমন অবস্থায় সরকার এবং বিরোধীদের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব গৃহযুদ্ধের আকার নিয়েছে। ফলাফল, সিরিয়ার মানুষের জীবন এখন মৃত্যুমুখে। সিরিয়ায় ছোট ছোট কফিনে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে জায়গা করে নিচ্ছে বড় বড় মৃত্যু।
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধে পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, সৌদি আরব ও ইরান। এই গৃহযুদ্ধে প্রত্যক্ষ ভূমিকা নেয় আল-কায়দার মদতপুষ্ট আল-নুসরতের মত জেহাদি গোষ্ঠী। ইতিমধ্যেই সিরিয়ার উত্তর-পূর্বভাগের দখল নেয় ইসলামিক স্টেট। আকাশ যুদ্ধে মুখোমুখি হয়েছে কুর্দিশ বাহিনী এবং রুশ-মার্কিন সেনা। ফলাফল- হাজারো মানুষের মৃত্যু। রক্ত বসন্তে লালে লালা সিরিয়া। অন্যদিকে পলাশে মুখ ঢেকেছে ভারতের বসন্ত।
সিরিয়া সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় ইরান-ইরাক, লেবানন, আফগানিস্তান এবং ইয়েমেনের শিয়া সেনা। ফলাফল রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। সিরিয়ার রাস্তায় রক্ত পরিষ্কার চলছে।
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধে লাখ লাখ প্রাণের বলি। জাপান মেতে সাকুরা উৎসবে।
আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে সন্তানহারা হাজার হাজার পিতা। চিন মেতে বর্ষবরণে।
থাইল্যান্ড মেতে বসন্ত বরণে। কাঁদছে সিরিয়া।