`রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই দাদাকে`, ফোঁটা দিয়ে বললেন অধীর চৌধুরীর `বোন`
নিজস্ব প্রতিবেদন : না রক্তের সম্পর্ক নয়। এই আত্মীয়তা আত্মার। দাদা বলতে অধীর চৌধুরীকেই জানেন, তাঁকেই মানেন বহরমপুরের মাঝদিয়ার পূর্ব পাড়ায় মাড্ডি পরিবারে গৃহকর্ত্রী রেনুকা মাড্ডি। আর 'দাদা' অধীর চৌধুরীও হাজারো ব্যস্ততার মাঝে ঠিক সময় করে সক্কাল সক্কাল ছুটলেন 'বোনে'র বাড়ি। ফোঁটা নিতে হবে যে!
রাখির পর ভাইফোঁটার দিন সকালেও 'বোন' রেনুকা মাড্ডির বাড়ি গিয়ে ফোঁটা নিলেন বহরমপুরের সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। অত্যন্ত ঘরোয়াভাবেই হল ভাইফোঁটা পালন। সমস্ত রীতি-নীতি, প্রথা মেনেই ভাইফোঁটা নিয়ে বোনের হাতে শাড়ি উপহার তুলে দিলেন দাদা। বোনও উপহার হিসেবে দাদাকে দিলেন কোট।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটের দিন ছেলেকে হারান বোন। সেদিন শোকবিহ্বল অবস্থাতেও দাদার জন্য ভোট দিতে ছুটে গিয়েছিলেন তিনি। নিজেদের দুর্দিন, দুঃসময়ের মধ্যেও মাড্ডি পরিবারের এভাবে পাশে থাকা অধীর চৌধুরীর কানে গিয়ে পৌঁছেছিল। ধীরে ধীরে এই মাড্ডি পরিবারের সঙ্গে আত্মীয়তার এক নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে অধীর চৌধুরীর।
এত ব্যস্ততার মাঝেও দাদা এসেছেন, তাঁর কপালে ফোঁটা দিয়ে বোনের মুখে আজ এক গাল হাসি। রেনুকা মাড্ডির কথায়, পৃথিবীতে তার এই একমাত্র দাদা-ই আছেন। যতদিন বাঁচবেন দাদার কপালে ফোঁটা দেওয়ার ইচ্ছে তাঁর। একইসঙ্গে জানালেন, দাদাকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখার সুপ্ত বাসনার কথা।
অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কথায়, "ভাই-বোনের মধুর সম্পর্কের উৎসব ভারতীয় সংস্কৃতি, সভ্যতার অঙ্গ। কোথাও রাখি। কোথাও ভাইফোঁটা। সমাজের সব ধর্মের মধ্যেই নানা বর্ণে যা প্রতিফলিত হয়।"