গ্রামসেবা গাঁওপুজোয় মাতলেন চা-বাগানের আদিবাসীরা
গ্রামসেবা গাঁওপুজোয় মেতে উঠলেন চা-বাগান বস্তির আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন। ভাল চাষবাস, গ্রামে সুখ-সমৃদ্ধির জন্য মুন্ডা, ওরাওঁ, সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষজন প্রতি বছর আষাঢ় মাসে এই পুজোর আয়োজন করেন।
আজ, রবিবারও গ্রামসেবা গাঁওপুজোকে ঘিরে আনন্দোৎসবে মেতে উঠতে দেখা গেল জলপাইগুড়ি শহর-সংলগ্ন ডেঙ্গুয়াঝাড় চা-বাগানে বসবাসকারী ডাঙালাইনের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের। এদিন নতুন জামাকাপড় পরে পুজোর অনুষ্ঠানে সামিল হলেন আট থেকে আশি।
আদিবাসী সম্প্রদায়ের মতে, অনাদি কাল থেকে হয়ে আসছে এই পুজো। সমস্ত বিঘ্ন দূর করতে, সংসারে ও জীবনে শান্তি-সমৃদ্ধি আনতে এই পুজো করা হয়। এই পুজোয় মুরগি, হাঁস, পায়রা, পাঁঠাবলির প্রচলন রয়েছে।
এই পুজোয় দিক হিসেবে নৈবেদ্য উত্সর্গ করা হয়। পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণ চারদিকেই পুজো করা হয়। আজ যেমন, উত্তর দিকে হিমানী পাহাড় মানে, হিমালয়ের উদ্দেশ্যে হাঁস উত্সর্গ করে পুজো করলেন তাঁরা।
এই পুজো পুরুষ ও নারীরা আলাদা করে আয়োজন করেন। পুরুষদের সঙ্গে মিলে পুজো করেন না আদিবাসী নারীরা। এটাই রীতি। তাঁরাও সমস্ত আবর্জনা পরিত্যাগ করে নতুন দিনের প্রার্থনা করেন।
আরও সব আশ্চর্য প্রথা আছে এ পুজোয়। যেমন, প্রাণী বলির প্রথা থাকলেও শিশুদের মঙ্গল কামনা করে চা-বাগানের জঙ্গলে মুরগি ছেড়ে দেওয়া হয় এ পুজোয়। আছে আরও নানাবিধ নিয়ম-নীতি। এবার সকলে এই পুজোয় এক করোনামুক্ত পৃথিবীর জন্য প্রার্থনা করছেন।