বোল্ড পোশাকে দিব্যি ঘুরেছেন,তালিবানদের থেকে বাঁচতে দেশ ছাড়লেন আফগান পপ তারকা Aryana
নাম আরিয়ানা সঈদ, এতদিন খোলামেলা পোশাকেই গোটা দেশে দাপিয়ে বেরিয়েছেন। তবে এখন পরিস্থিতি এক্কেবারেই আলাদা। তালিবানি থাবা থেকে বাঁচতে কোনওক্রমে দেশ থেকে পালিয়ে বেঁচেছেন এই আফগান পপ তারকা।
এতদিন হিজাব কিংবা বোরখা, কোনও কিছুরই ধার ধারেননি আরিয়ানা। খোলামেলা পোশাকেই দিব্যি ঘুরেছেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গেয়েছেন। শুধু তাই নয়, দেশের দু’টি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গেও কাজ করেছেন। 'দ্য ভয়েস অফ আফগান' গানের অনুষ্ঠানে বিচারকও ছিলেন আরিয়ানা।
দীর্ঘ ২০ বছর ধরে যে সমস্ত আফগান মহিলা নারী স্বাধীনতার জন্য সুর চড়িয়েছেন, মেয়েদের পথ দেখিয়েছেন তাঁদেরই একজন হলেন পপ তারকা আরিয়ানা সঈদ। তিনি বরাবরই নির্ভিক।
কিছুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মার্কিন উদ্ধারকারী বিমানের কিছু ছবি ও ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। সেই বিমানে করে দেশ ছেড়ে কোনওক্রমে তালিবানদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করেছিলেন বহু আফগান নাগরিক। সেই দলে সামিল হয়েছিলেন আরিয়ানাও। পরে অবশ্য সেখান থেকে ইস্তানবুলে পৌঁছনোর কথা জানান আফগান পপ তারকা।
অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে আরিয়ানা জানান, "আমি ভালো আছি এবং বেঁচে আছি এবং কয়েকটি অবিস্মরণীয় রাতের পর আমি কাতারের দোহায় পৌঁছেছি এবং ইস্তানবুলে ফেরত যাওয়ার জন্য আমারা শেষ বিমানের অপেক্ষায় রয়েছি।"
জন্ম আফগানিস্তানে হলেও আরিয়ানার জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে সুইৎজারল্যান্ড ও লন্ডনে। সেই সূত্রেই পাশ্চাত্য ভাবধারায় বড় হয়েছেন আরিয়ানা। পপ তারকার মা ছিলেন তাজিব জনগোষ্ঠীর মানুষ। যাঁরা কিনা একসময় তালিবানদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।
২০১১ সাল ফের আফগানিস্তানে ফেরেন আরিয়ানা সঈদ। আফগানদের মধ্যে তাঁর 'আফগান পেশারক' গানের জনপ্রিয়তা দেখেই ফের দেশে ফেরেন পপ তারকা। দেশে ফিরে জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন আরিয়ানা।
প্রসঙ্গত আফগান মহিলা ফুটবল জাতীয় দলের খেলোয়াড় নাদিয়া নাদিম সম্পর্কে আরিয়ানার ভাইঝি হন। ২০১৮ সালে নিজের ম্যানেজার হাসিব সঈদকে বিয়ে করেন আরিয়ানা। আপাতত স্বামীর সঙ্গেই দেশ ছেড়েছেন আফগান পপ তারকা।