Afghanistan Crisis: মাথা তুললেই বন্দুকের ডগায় মহিলাদের সবক শেখানো, ফিরছে কি সেই জমানা!
মেয়েদের অধিকার কোনও ভাবেই হরণ করা হবে না। তারা বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত পড়তে পারবে, এমন অনেক ঘোষণাই করেছে তালিবান। কিন্তু তালিবান কাবুল কব্জা করার পরই আতঙ্ক রয়েছেন শিল্প, সিনেমার সঙ্গে জড়িত বিশিষ্ট মহিলারা। কাবুলে গুলিতে আহত হয়েছেন দেশের বিশিষ্ট নারী অধিকার কর্মী ফাউজিয়া কুফি। তালিবানের কট্টর সমালোচক ফাউজিয়ার ডান হাতে গুলি করা হয়। সংবাদ মাধ্যমের খবর, মাথা ঢাকা না দেওয়ায় কাবুলে গুলি করা হয়েছে এক মহিলাকে। প্রকাশ্য রাস্তায় মারধর করা হয়েছে মহিলাদের।
এখন গোটা দেশটাই দখল করে নিয়েছে তালিবান। কিন্তু ১৫ অগাস্টের আগে আফগানিস্তানের যেসব জায়গায় তালিবান আধিপত্য ছিল সেখানে ভয়ঙ্কর সব অত্যাচার চালিয়েছেন তালিবান। বর্তমানে দিল্লিতে বসবাস করেন আফগান গৃহবধূ খাতেরা হাসিমি। তাঁর দাবি, তালিবান মহিলাদের মানুষ বলে মনে করে না। মহিলাদের খুন করে তাদের দেহ কুকুরকে খাইয়েছে এমন উদাহরণও রয়েছে। পুলিসে চাকরি করতে চাওয়ায় তাঁকে ৮টি গুলি করেছিল তালিবান। শুধু তাই নয়, তার চোখও অন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
রবিবার তালিবান কাবুল দখল নেওয়ার পর বুধবার কোনওক্রমে প্রাণ নিয়ে ইউক্রেনে পালিয়েছেন বিশিষ্ট আফগান পরিচালক সারা কারিমি। এক টিবি ইন্টাভিউতে কারিমি বলেছেন, তালিবান জমানায় আপনি হয়তো বাঁচতে পারবেন। কিন্তু সেই জীবন দুর্বিষহ। ক্রিয়েটিভিটি ছাড়া জীবন হয় না। তা করতে দেবে না তালিবান।
মেয়েদের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে বলার পর আসল রূপ দেখাতে শুরু করেছে তালিবান। ১৫ অগাস্ট কাবুল দখলের পর সরকারি টিভি চ্য়ানেল থেকে খাদিজা আমিন ও শবনম দাওয়ানকে সরিয়ে দিয়েছে তালিবান। টিভি চ্যানেলটি মহিলা অ্য়াঙ্কদের ঢুকতে নিষেধ করা হয়েছে।
মিনা খাইরি(২৩) ছিলেন আরিয়ানা নিউজ টিভির অ্য়াঙ্কার। গত মাসে তাকে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে খুন করা হয়। মিনার সঙ্গেই মৃত্যু হয় তাঁর মায়ের। ওই বিস্ফোরণে গুরতর আহত মিনার বোনের মৃত্যু হয় ৩ দিন পর। তালিবান কাবুল দখল করার পর সাংবাদিকদের উপর এরকম হামলা আকছার হয়ে যাবে, এমন আশঙ্কাই করছে সেদেশের সাংবাদিক মহলের একাংশ।