Afghanistan: দাদার সঙ্গে সংঘাত থেকেই রাজনীতিতে! গনি ক্ষমতা হারাতেই তালিবানকে সমর্থন ভাই হাসমতের
দেশের অধিকাংশ জায়গায়ই এখন তালিবানের দখলে। সরকারি প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের দখল নিয়েছে তারা। এবার তাদের সমর্থন দিতে চলেছেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেডিডেন্ট আশরফ গনির ভাই হাসমত গনি। এমনটাই সেদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। এমনটাই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে তালিবানের তরফে।
দুনিয়ার চোখে তালিবান এখনও জঙ্গি। দেশের ক্ষমতা দখল করলেও বিশ্বের অন্য়ান্য দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করতে প্রয়োজন একটি সরকার গঠন। সেক্ষেত্রে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের ভাই যদি তালিবানকে সমর্থন করেন তাহলে তা তাদের একটা মাইলেজ দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এক ভারতীয় টিভি চ্য়ানেলে হাসমত জানিয়েছেন তিনি তালিবানকে মেনে নিচ্ছেন।
এখনও পর্যন্ত তালিবানকে সমর্থন দেওয়া কথা ঘোষণা করেননি হাসমত। তবে সেরকমই এক ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। তবে তাঁর দাবি, তালিবান দেশ চালাতে সক্ষম। এক টুইটে তিনি জানিয়েছেন, 'দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে তালিবান। পুরনো সরকার দেশ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই পুরনো নেতাদের শাসন ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া প্রয়োজন।'
বড়ভাই ক্ষমতা থেকে সরতেই ঘরশত্রু বিভীষণ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেন হাসমত! বছর ষাটের ব্যবসায়ী হাসমত বিপুল টাকার মালিক। দেশের রাজনৈতিক মহলে বেশ প্রভাবও রয়েছে। তাঁর সংস্থা গনি গ্রুপকে এক ডাকে চেনে দেশের মানুষ। সেই সংস্থা এখন চালান হাসমতের ছেলে সুলতান গনি। কনস্ট্রাকশন, খনি, বিদ্যুত্ ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে দেশ ও বিদেশে কাজ করে গনি গ্রুপ।
ফ্রান্স ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পড়াশোনা শেষ করে ব্যবসা বড় করেন হাসমত। আফগানিস্তানই নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে হাসমতের।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ব্যক্তিগত লড়াই থেকেই এখন তালিবান শিবিরের দিকে ঝুঁকছেন হাসমত। ভাইয়ের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা বলে কোনও কোনও মহল মনে করলেও ব্যবসায়ীক সাম্রাজ্য বাঁচাতেও এমন পদক্ষেপ বলে মনে করছে কোনও কোনও মহল।
ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতিও করেন হাসমত। বর্তমানে কুচিস গ্রান্ড কাউন্সিলের প্রধান হাসমত। তালিবান নেতা খলিল উর রহমান ও তালিবান ঘনিষ্ঠ মুফতি মাহমুদ জাকিরের প্রতি ইতিমধ্যেই তাঁর সমর্থন জানিয়েছেন হাসমত। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবিও প্রকশিত হয়েছে। ফলে মনে করা হচ্ছে তালিবানের প্রতি সমর্থন ঘোষণা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।