একশো বছর পর ফেসবুক, গুগল, ইন্সটা-র কী হাল হবে দেখুন
সোশ্যাল মিডিয়ার একশো বছর বয়স হলে তাদের দেখতে কেমন লাগবে? কখনও ভেবেছেন? তাদেরও তো চুল পাকবে। চামড়া আর ততটা টানটান থাকবে না। মুখে হাজারো বলিরেখা দেখা দেবে। দাঁতগুলো খসে গিয়ে মাড়িই সম্বল হবে সোশ্যাল মিডিয়ারও। ঠিকই ধরেছেন। কতকটা তাই।
ফেসবুক: বয়স মাত্র তেরো। সাবলকই হয়নি এখনও। একশো বছর পর হয়ত জুকারবার্গ থাকবেন না। যদি ফেসবুক সেদিনও জীবিত থাকে, তা হলে দেখতে ঠিক এমনটাই হবে হয়তো।
ফেসবুকের লোগো দেখে মনে হচ্ছে তার দাঁতগুলো পড়ে গিয়েছে!
ফেসবুকের মতো গুগলের অবস্থাও হয়ত এমনটাই হবে। বয়সের হিসাবে ৬ বছরের বড় গুগল। তাই, গুগল এখন প্রাপ্ত বয়স্ক। ভীষণ স্মার্ট এবং পরিণত। সত্যি বলতে কী মানুষ তো গুগল অজ্ঞান। কিন্তু একশোর পর গুগলের সেই তেজ থাকবে তো!
একশো বছর বয়সে হয়ত এভাবেই তার অঙ্গগুলো খসে যাবে...
পিনটারেস্ট- খুব একটা জনপ্রিয় না হলেও ছবির দুনিয়ায় একটু আধটু নামযশ করেছে পিনটারেস্ট। একশো পেড়িয়ে এই সংস্থা ঠিকঠাক চললে এমনই দেখতে হবে।
একশো বছর পর হয়তো তার 'ইন্টারেস্ট' হারিয়ে যাবে, পড়ে থাকবে শুধু 'পিনগুলি'।
ইন্সটাগ্রাম- ছবির দুনিয়ায় এই মুহূর্তে ইন্সটাগ্রামের ওজন গ্রামে নয়, টনে মাপতে হয়। সেলিব্রিটিরা এখানে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকেন। কিন্তু, একশো বছর পর সেই জৌলুস কি থাকবে?
একশো বছরে ইন্সটাগ্রামের রং চটে গিয়েছে। অনেকটাই ফিকে।
সোশ্যাল মিডিয়ার আরও একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম টুইটার। বয়স এখন ১১। সামান্য ২৮০টা শব্দের কথা বলে দুনিয়া হেলিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে সে। দেশে দেশে যুদ্ধ বাধিয়ে দিতে পারে। মানুষের মধ্যে মন কষাকষিতেও সিদ্ধহস্ত সে। তবে, একশো বছর পর কি টুইটারের আর সেই ক্ষমতা থাকবে!
এ সব ছবি তৈরি হয়েছে শিল্পীর ভাবনা থাকে। আন্দ্রে লাকাতুসু নামে রোমের এই শিল্পী এই লোগোগুলি তৈরি করেন। তাঁর এই অভিনব ভাবনা সোশ্যাল মিডিয়া সাদরে গ্রহণও করেছে। সেই সঙ্গে এই মাধ্যমগুলি যে ভবিষ্যতেও সমসাময়িক থাকবে, সে বিষয়ে আশাবাদী নেটিজেনরা।