১৩ বছর পর বাবা-মেয়ের দেখা, পলককে সুন্দরভাবে গড়ার কৃতিত্ব Shweta-কে দিলেন Raja

Fri, 26 Mar 2021-5:45 pm,

শেষবার যখন মেয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিল, তখন পলকের বয়স ছিল ৭। ছোট্ট সেই পলক এখন বছর ২০-র তরুণী। দীর্ঘ ১৩ বছর পর ফের মেয়ের সঙ্গে দেখা হল বাবা রাজা চৌধুরীর। এতবছর পর মেয়েকে কাছে পেয়ে আবেগতাড়িত ভোজপুরী অভিনেতা রাজা চৌধুরী।   

মেয়ের সঙ্গে দেখা করার অনুভূতি সর্বভারতীয় সংবাদ-মাধ্যমের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন রাজা চৌধুরী। তাঁর কথায়, ''আমি যখন ওকে শেষবার দেখেছিলাম, ও অনেক ছোট্ট ছিল। যদিও হোয়াটসঅ্যাপে নিয়মিত ওর সঙ্গে কথা হয়। পলক থাকে মুম্বইতে আর আমি মিরাটে।''

রাজা চৌধুরী সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, ''পলক এখন সিনেমা করছে। ও সেটারই রিহার্সাল করছিল। আমি সময় বের করে ওকে ডেকে নি। আধ ঘণ্টার জন্য আমাদের কথা হয়। তবে অতীতের কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। শুধু, বাবা-মেয়ের ভালোবাসায় ভরা কথা হয়েছে।''

রাজা চৌধুরী জানান, ''আমি ওকে দাদা-দাদি, চাচা চাচির কথা বলেছি। ও বলেছে শীঘ্রই আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসবে। এটা আমাদের বাবা-মেয়ের সম্পর্কের নতুন একটা শুরু। আমি এখনও ওকে আগের মতোই ভালোবাসি।''

প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে ভোজপুরী অভিনেতা রাজা চৌধুরীর সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন শ্বেতা তিওয়ারি। সেসময় শ্বেতার বয়স  ছিল মাত্র ১৯। এক বন্ধুর মাধ্যমে রাজার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল শ্বেতার। 

জানা যায়, রাজার সঙ্গে মেয়ের বিয়েতে সম্মতি ছিল না শ্বেতার মায়ের। তবুও একপ্রকার পালিয়ে গিয়েই রাজাকে বিয়ে করেছিলেন শ্বেতা তিওয়ারি। শ্বেতা ও রাজার মেয়েই হলেন পলক তিওয়ারি। 

যদিও বিয়ের এক বছরের মধ্যেই রাজা ও শ্বেতার বন্ধুত্ব তিক্ততায় ভরে যায়। অভিযোগ ওঠে, শ্বেতাকে মারধর করতেন রাজা। 

রাজার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে শ্বেতা জানিয়েছিলেন, ''উফ আমি নরক যন্ত্রণার মধ্যে ছিলাম! আসলে, আমার বিয়ের সাত বছর হয়েছে, তার মধ্যে ৬ বছরই আমি বিবাহ-বিচ্ছেদের জন্য লড়াই করছি। এটা যেন ১৩-১৪ বছরের বনবাস। যেখান থেকে অবশেষে বের হয়ে আসতে পারলাম।'' 

এদিন মেয়ের সঙ্গে দেখা করার পর রাজা বলেন, ''জীবন আমায় আরও একটা সুযোগ দিয়েছে। আমি ভুলগুলো শুধরে নিয়ে আমার মেয়ের সঙ্গে সবকিছু ঠিক করে নেওয়ার চেষ্টা করছি। পলকের প্রতি আমার ভালোবাসা একই আছে। যদিও এত বছর আমায় ওর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। তবে এখন ও বড়, নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পার।  ''

রাজা চৌধুরীর কথায়, মেয়ের বড় হওয়ার মুহূর্তগুলিতে আমি ওকে পাইনি। সেগুলি ভীষণ মিস করি। তবে এখন দেখলাম, ওকে খুব সুন্দরভাবে বড় করা হয়েছে। তবে এর সব কৃতিত্বই আমি আমার প্রাক্তন স্ত্রী শ্বেতাকেই দেব। 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link