৩৪ বছর পর টনক নড়ল মেট্রোর, চালু হচ্ছে শৌচালয়
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: ক্ষমতায় আসার পর দেশকে সাফসুতরো করতে 'স্বচ্ছ ভারত' অভিযান শুরু করেন নরেন্দ্র মোদী। শৌচালয় নির্মাণের উপরে জোর দেয় মোদী সরকার। তার কয়েক বছর পর টনক নড়ল মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের।
কলকাতায় নয় নয় করে ৩৪ বছর ধরে পাতাল পথে ট্রেন চলছে। অথচ এত বছরেও যাত্রীদের জন্য শৌচালয় তৈরির কথা মাথায় আসেনি মেট্রো কর্তৃপক্ষের।
দীর্ঘদিন ধরেই শৌচালয়ের দাবি জানিয়ে আসছিলেন যাত্রীরা। সেই দাবি মেনেই ৩৪ বছর পর চালু হতে চলেছে শৌচালয়।
তবে আপাতত চারটি স্টেশনে চালু হয়েছে শৌচালয়। পরে অন্য স্টেশনেও শৌচালয় তৈরির ভাবনা মেট্রো কর্তৃপক্ষের।
প্রায় ৩৪ বছর বয়স কলকাতা মেট্রোর। শুরুতে প্রায় ১৫ কিলোমিটার ছিল যাত্রাপথ। তখন মেট্রোয় কোনও টয়লেট ছিল না। মনে করা হত, এত কম সময়ে প্রয়োজন পড়বে না শৌচালয়ের।
কিন্তু গত কয়েকবছরে নোয়াপাড়া থেকে নিউ গড়িয়া প্রায় ২৮ কিলোমিটার হয়েছে যাত্রাপথ।
দীর্ঘ যাত্রাপথে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে স্টেশন মাস্টারকে অনুরোধ করে কর্মীদের শৌচালয়ও ব্যবহার করেছেন যাত্রীরা।
নোয়াপাড়া, বেলগাছিয়া, শোভাবাজার ও শহিদ ক্ষুদিরামে তৈরি হচ্ছে শৌচালয়।
নোয়াপাড়া এবং শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশনে টয়লেট থাকছে মাটির তলায় স্টেশন এলাকায়।
বেলগাছিয়া এবং শোভাবাজার স্টেশনের গা ঘেঁষে মাটির ওপর টয়লেট তৈরি করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে সবকটি টয়লেটই মাটির নীচে করার ভাবনা ছিল। কিন্তু মেট্রো স্টেশনের ব্যবস্থা অনুযায়ী সবক্ষেত্রে তা সম্ভব হয়নি।