প্রায় ১১ মাস পর বাজল স্কুলের ঘণ্টা, খুশি পড়ুয়ারা

Fri, 12 Feb 2021-10:19 am,

নিজস্ব প্রতিবেদন: সেই ব্ল্যাক বোর্ড, সেই চক ডাস্টারের গন্ধ, সেই চেয়ার টেবিল, লম্বা করিডোর, যেন অনেকদিন পর প্রাণ ফিরে পেল তারা। বামেদের ডাকা বনধকে তোয়াক্কা না করেই প্রথমদিন স্কুলে পৌঁছে গিয়েছে পড়ুয়ারা। স্কুলে পৌঁছানো নিয়ে অভিভাবকরা ইতস্তত  বোধ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। তবে রাজ্য সরকার অতিরিক্ত সরকারি বাস নামিয়েছে রাস্তায়। এই প্রসঙ্গে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, আমরা স্কুল পড়ুয়াদের আটকাচ্ছি না। 

ক্লাসে ফিরছে রাজ্যের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির প্রায় ৪০ লক্ষ পড়ুয়া। প্রায় ১১ মাস পর খোলে সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ও অধিকাংশ বেসরকারি স্কুল।

স্বাস্থ্য বিধি মেনেই স্কুল চলবে।  স্কুলে ঢোকা থেকে বেরোনো মানতে হবে রাজ্য সরকারের জারি করা ২৮ পাতার গাইড লাইন। যার অন্যথা করা যাবে না বলে কড়া বার্তা প্রশাসনের। 

এবছর যারা মাধ্যমিক দেবে তাদের পরীক্ষা শেষে ক্লাস হয়েছে মাত্র আড়াই মাস, অন্য যারা উচ্চমাধ্যমিক দেবে তাদের কোনও ক্লাস হয়নি। 

স্কুলের নোটিশ বোর্ডে থাকবে গাইডলাইন। স্কুলের মধ্যেই রাখতে হবে আলাদা আইসোলেশন রুম। 

প্রথমেই উল্লেখ রয়েছে  স্কুলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, ছাত্রছাত্রী সকলকে মাস্ক পরতে হবে।  ছাত্র ছাত্রীদের জ্বর বা কোনও শারীরিক সমস্যা হলে অভিভাবকদের তা স্কুলকে জানাতে হবে। গাইডলাইনে উল্লেখ আছে কম করে সাতদিন তাঁকে বাড়িতে বিশ্রাম করতে হবে।  স্কুলে রাখতে হবে আইসোলেশন রুম। ছাত্র ছাত্রীরা ক্লাসে ঢোকার আগে স্যানিটাইজ করতে হবে প্রত্যেকটি ক্লাসরুম। তারা বেরিয়ে যাওয়ার পরও স্যানিটাইজ করতে হবে। বাথরুম পরিষ্কার রাখতে হবে।  সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে। ক্লাস ভাগ করে দিতে হবে। একটি বেঞ্জে ১ বা ২ জনের বেশি পড়ুয়াকে বসতে দেওয়া যাবে না। কোনও ভিজিটার বা অভিভাবক স্কুলে ঢুকতে পারবে না।  প্রত্যেক ক্লাসরুমে স্যানিটাইজার রাখতে হবে। স্কুলে ঢোকার মুখে থার্মাল স্ক্যানিং ও স্যানিটাইজার রাখতে হবে। টিফিন ভাগ করে খাওয়া বা অন্যের জলের বোতল ব্যবহার করা যাবে না।  খেলাধুলো বা অনুষ্ঠানের কোনও আয়োজন করা যাবে না। গোটা বিষয়টি নজরে রাখবেন    জেলা স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শক ও স্থানীয় প্রশাসন।  প্রত্যেকে শরীরিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত থাকবেন  প্রধান শিক্ষক। স্কুলে ঢোকার পর যখন তখন যাতে তারা বাইরে বেরিয়ে যেতে না পারে সেদিকেও নজর রাখতে হবে।  যাঁরা অনলাইনে সঠিকভাবে কাজ করতে পারেনি তাদের উপর নজর রাখতে হবে। বিশেষ যত্ন নিয়ে তাদের পড়াতে হবে। তারজন্য যদি অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হয়, তার ব্যবস্থা করবেন প্রধান শিক্ষক।  খুব প্রয়োজন ছাড়া যথাযথ কারণ দেখাতে না পারলে ছুটি নিতে পারবেন না শিক্ষক  শিক্ষিকারা। স্কুলে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বা কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তার একটি চেকলিস্ট অভিভাবকদের হাতে দেওয়া হবে।  

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link