হাত ধরে `টিনএজ` পেরোলেন অজয়-কাজল, ফিরে দেখা কিছু স্মৃতি
১৯৯৯-এ ২৪ ফেব্রুয়ারি গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন কাজল ও অজয় দেবগণ। তাঁদের বিয়ের খবরে চমকে গিয়েছিল সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে বলিউডের অনেকেই।
অজয়-কাজল দুজনেই এক্কেবারেই বিপরীত প্রকৃতির। যেখানে অজয় দেবগণ মিতভাষী, সেখানে কাজল ততটাই কইয়ে-বইয়ে টাইপ চরিত্রের। অথচ ভালোমন্দের মধ্যে দিয়ে দেখতে দেখতে বিবাহিত জীবনের ১৯ বছর পার করে দিলেন বলিউডের এই জুটি।
কাজলের বিয়েতে উপস্থিত শাহরুখ ও গৌরী। কাজল যখন হাতে মেহেন্দি লাগিয়ে বসে রয়েছেন। সেই শাহরুখ-গৌরী ব্যস্ত বিয়েতে উপস্থিত অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলতে।
এক সাক্ষাৎকারে অজয় সম্পর্কে বলতে গিয়ে কাজল বলেন, '' আমি অনেকটাই খারাপ ও জটিল টাইপের, মানুষ হিসাবে অজয় সত্যিই আমার থেকে অনেক ভালো। আমরা বিয়ে আগের প্রায় ৪ বছর ধরে ডেট করেছি। আমরা বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলাম। আমার মনে হয় আমাদের সম্পর্কটা এতটা দীর্ঘস্থায়ী ও সুন্দর হয়েছে কারণ আমি অসম্ভব কথা বলি, আর ও চুপচাপ শোনে। এটাই আমাদের সুখী দাম্পত্যের চাবিকাঠি।''
নিজেদের ১৯তম বিবাহ বার্ষিকীতে সিঙ্গাপুরে কাটাচ্ছে অজয় ও কাজল। সঙ্গে রয়েছে তাঁদের দুই সন্তান যুগ ও নাইসা।
পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে ছেলে যুগের সঙ্গে অজয় দেবগণের সময় কাটানোর মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি।
বলিউডে যত বিতর্ক, যত সমস্যাই তৈরি হয়েছে, সবক্ষেত্রে হাবি অজয়ের পাশেই দাঁড়িয়েছেন কাজল। এমনকী তা শাহরুখ-অজয়ের গণ্ডগোলই হোক কিংবা অজয়-করণ বিবাদ।
তবে তাঁদের দীর্ঘ বিবাহিত জীবনে অজয়-কাজলের মধ্যে যে কোনও সমস্যাই তৈরি হয়নি তেমনটাও নয়। ২০১০-১১ সালে কঙ্গনা রানাওয়াতকে নিয়ে কাজল-অজয়ের মধ্যে সমস্যার কথা শোনা যায়। এমনকী শোনা যায়, কঙ্গনার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর কারণে অজয়ের সঙ্গে বিবাহ-বিচ্ছেদের পথেও হাঁটার সিদ্ধান্তও নাকি নিয়ে ফেলেছিলেন কাজল। তবে পরবর্তীকালে অজয় দেবগণের চেষ্টাতেই নাকি ভুল-বোঝাবুঝি মিটে যায়।
শোনা যায় শাহরুখের সঙ্গে কাজলের 'মাই নেম ইস খান' ফিল্মে কাজ করার সিদ্ধান্তে ভীষণই বিরক্ত হয়েছিলেন অজয়। তবুও কাজল অজয়ের কথা না শুনেই ওই ছবিতে সই করেন। সিনেমার শ্যুটিংয়ের সময় কাজল আমেরিকায় ছিলেন। সেসময় নাকি তিনি তাঁর সঙ্গে মেয়ে নাইসাকেও নিয়ে যাননি (ছেলে যুগ তখনও জন্ম নেয়নি) সেসময় নাইসার দেখাশোনা করে অজয়ের পরিবার। এমনকী বৌমার এমন সিদ্ধান্তে নাকি অখুশি ছিলেন অজয়ের বাবাও। কাজল তখন দ্বিতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন, সেসব তোয়াক্কা না করেই নাকি কাজল 'মাই নেম ইস খান'-এর প্রমোশনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। শোনা যায় তাতেও বেশ বিরক্তই হন অজয়।
আর পাঁচজনের মতোই দাম্পত্য জীবনে নানান সমস্যা বাধা এসেছে কাজল-অজয়ের মধ্যেও। তবুও এসবকে ছাপিয়ে গিয়ে জয় হয়েছে তাঁদের ভালোবাসারই। অজয়-কাজলের ১৯তম বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে ২৪ ঘণ্টার তরফেও রইল শুভেচ্ছা।