Ajitesh Bandopadhyay: সংস্কৃত থেকে গল্পও অনুবাদ করতেন `শের আফগান` অজিতেশ
বাংলা নাটকের কিংবদন্তি। নাট্যশিল্পের অন্যতম বিশিষ্ট মুখ অজিতেশ বন্দোপাধ্যায়। ১৯৩৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পুরুলিয়ায় মামারবাড়িতে জন্ম তাঁর। নাট্যকার, নাট্য পরিচালক এবং অভিনেতা অজিতেশ বাংলা সংস্কৃতির এক নক্ষত্র।
১৯৫৭ সালে কলকাতার মণীন্দ্রনাথ কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স-সহ পাশ করেছিলেন। আর ওই বছরেই ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
১৯৬০ সালে ২৯ জুন অজিতেশ প্রতিষ্ঠা করেন 'নান্দীকার'। প্রায় ৪০টি নাটকে নির্দেশক বা অভিনয় অথবা উভয়ক্ষেত্রেই অংশ নিয়েছিলেন। তাঁর 'তিন পয়সার পালা' নাটকটির জন্য তিনি প্রভূত সুনাম অর্জন করেন।
শুধু নাটক নয়, সিনেমাতেও চুটিয়ে অভিনয় করেছিলেন অজিতেশ। ১৯৬৫ সালে 'ছুটি' ছবিতে প্রথম অভিনয় তাঁর। বাংলা ও হিন্দি মিলিয়ে মোট ৬৩টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। তপন সিংহ পরিচালিত 'হাটে বাজারে' সিনেমায় অভিনয় করে নজর কেড়েছিলেন অজিতেশ। 'কুহেলী'র সত্যভূষণ বা 'হাটে বাজারে'র লছমনলালকে আজও ভুলতে পারেননি মানুষ। তরুণ মজুমদারের 'গণদেবতা'তেও তাঁর অবিস্মরণীয় অভিনয় আছে।
অথচ শুরুর দিকে লড়াই ছিল সাঙ্ঘাতিক। অর্থকষ্ট। খিদে। তরুণ বয়সে সম্বল বলতে টিউশনি। আর গল্প লিখে একটি পত্রিকা থেকে কিছু রোজগার। শোনা যায়, ইংরেজি অনার্সের ছাত্র অজিতেশ সংস্কৃত থেকে বাংলায় গল্প অনুবাদ করতেন!
'মঞ্জরী, আমের মঞ্জরী', 'তিন পয়সার পালা', 'তামাকু সেবনের উপকারিতা', 'নাট্যকারের সন্ধানে ছটি চরিত্র'-- নাটকে তাঁর অপূর্ব অর্জন। শম্ভু মিত্র তাঁর প্রভূত প্রশংসা করেছিলেন। উৎপল দত্তের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে একটু দোটানা ছিল। তবে আজও তাঁর শিল্পকলার ঐতিহ্য অজান্তেই বহন করে চলেছে বাংলা নাট্যজগৎ।