আমাজনের ‘রাক্ষুসে’ মাছ রহস্যজনক ভাবে বাড়ছে মণিপুরের একটি হ্রদে!
মাগুরের মতো দেখতে, কিন্তু মাগুর নয়। অস্বাভাবিক হারে এই মাছের সংখ্যা বেড়ে চলেছে মণিপুরের পুকুর বা হ্রদের জলে। মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন নদীতে এ মাছের বসবাস। ব্রাজিল বা পেরুর জলাসয়েও এই মাছের দেখা পাওয়া যায়।
মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সে সব দেশে এই মাছকে আমাজন সেইলফিন ক্যাটফিস (Amazon Sailfin Catfish) বা সাকারমাউথ ক্যাটফিস বলেই চেনেন সকলে। মাছটি লম্বায় এক ফুটের কাছাকাছি। ওজন ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম। খুব দ্রুত বংশবৃদ্ধি হয় এই প্রজাতির মাছের। ফলে দ্রুত বিগড়ে যায় সেই জলাশয়ের পরিবেশও। অন্যান্য মাছের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি হয়।
কিন্তু আমাজনের এই ‘রাক্ষুসে’ মাছ কী ভাবে এল মণিপুরের জলে, তা বুঝে উঠতে পারছেন না মৎস্য বিশেষজ্ঞরা। নদী, হ্রদ বা পুকুর— জলাশয় যেমনই হোক না কেন, তার একটি নির্দিষ্ট বাস্তুতন্ত্র থাকে। এই ধরনের মাছ সেই বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বিগড়ে দিতে পারে। বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে অনেক ছোট প্রজাতির মাছ, আশঙ্কা মৎস্য বিশেষজ্ঞদের!
মণিপুরের ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব এগ্রিকালচার রিসার্চ’ (ICAR)-এর বিজ্ঞানী ডঃ বসুধা দেবী জানান, হ্রদের জলে এমন মাছ থাকা মোটেই ভাল কথা নয়। জলজ বাস্তুতন্ত্রের উপর এর প্রভাব পড়তে বাধ্য। অন্যান্য মাছের সংখ্যা কমতে থাকবে।
মৎস্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, কিছু দিনের মধ্যেই গোটা জলাশয়কে ‘মাছশূন্য’ করে দেবে এই ‘রাক্ষুসে’ প্রজাতির মাছ। এর আগে ২০১৮ সালেও মাদুরাইতে এই প্রজাতির মাছের আগমনে জলের বাকি মাছদের মধ্যে মড়ক শুরু হয়ে গিয়েছিল।