বাবুলকে নিগ্রহে অভিযুক্ত শৌর্যদীপ্ত ও দেবাঞ্জন যাদবপুরের ছাত্রই নন
নিজস্ব প্রতিবেদন: যাদবপুরে তাঁকে নিগ্রহকারীদের চিহ্নিত করতে একের পর এক পোস্ট করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। বাবুলকে চুল ধরে টানার অভিযোগ যার বিরুদ্ধে, সেই দেবাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় যাদবপুরের পড়ুয়াই নন। তাঁর বর্ধমানের বাড়িতে গিয়ে কারও খোঁজ পাননি আমাদের প্রতিনিধি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে নিগ্রহ। যাদবপুরে বাবুলকে চড় মারার ছবিও ক্যামেরাবন্দি। ঘটনার পর থেকেই ফেসবুক-টুইটারে সরব বাবুল সুপ্রিয়। একাধিক ভিডিও ফুটেজ এবং স্টিল ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। বিক্ষোভকারীদের দিকে আঙুল তুলেছেন।
বাবুলেরই পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দেবাঞ্জনবল্লভ চট্টোপাধ্যায় নামে নীল-সাদা স্ট্রাইপড শার্টের ছেলেটি তাঁর চুল ধরে টানছেন। পাশে রয়েছেন শৌর্যদীপ্ত সেনগুপ্ত। দু-জনের কেউই যাদবপুরের পড়ুয়া নন। দু-জনই অতি বাম ছাত্র সংগঠন USDF সদস্য। অন্য একটি ছবিতেও সামনে থেকে দেবাঞ্জনকে বাবুলের চুল ধরে টানতে দেখা গেছে।
অভিযুক্ত দেবাঞ্জনবল্লভ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান টাউন স্কুলের কাছেই থাকেন। এই স্কুলেরই প্রাক্তনী দেবাঞ্জনের তালাবন্ধ বাড়িতে কারও খোঁজ পাননি আমাদের প্রতিনিধি।
অভিযুক্ত দেবাঞ্জনবল্লভ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান টাউন স্কুলের কাছেই থাকেন। এই স্কুলেরই প্রাক্তনী দেবাঞ্জনের তালাবন্ধ বাড়িতে কারও খোঁজ পাননি আমাদের প্রতিনিধি।
পাল্টা বিবৃতিতে দেবাঞ্জনের দাবি বাবুল সুপ্রিয় তাঁকে মারতে গেলে তিনি হাত এগিয়ে দিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন।
বাবুলের ফেসবুক ভিডিয়োতে, পবন নামে তুলনামূলক সাহিত্যের এই পড়ুয়াকে, বাবুলের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়াতে দেখা গেছে। তাঁকে মাওবাদীও বলা হয়েছে।
যাদবপুরের আঁচ যে তিনি সহজে থিতিয়ে যেতে দেবেন না, তা সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবুলের সক্রিয়তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।