Amne Samne | CV Ananda Bose: `আমনে সামনে` পড়ুয়ারা, খুদের উদ্যোগে খুশি রাজ্যপাল দিলেন ১৫০০০
অয়ন ঘোষাল: আমনে সামনে। আগামী প্রজন্মের ভিত গঠন হয় ছাত্রজীবনেই। কেমন ভাবে আগামীকে দেখে কিশোর তরুণ প্রজন্ম? ভবিষ্যতের সমাজ গঠনে তাদের মতামত ও ভূমিকা কী? কেমন সমাজ দেখতে চায় তারা? আলাপ আলোচনায় এভাবেই ভাবী প্রজন্মকে জানার ও বোঝার চেষ্টায় রাজভবনে আমনে সামনে।
সৌম্যজিত সাহা। বেলডাঙা, মুর্শিদাবাদ। দ্বাদশ শ্রেণী। দ্বিপায়ন দত্ত, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়, নদীয়া। ফারুক আহমেদ, সংস্কৃত কলেজ। বাড়ি মুর্শিদাবাদ। কলকাতায় পিজিতে থাকে। ডলি সিং, হাওড়া। মাইকা কলেজ হাওড়ার পড়ুয়া। জাহানারা আনসারি, হুগলি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। ঐশিকা সিনহা, আর্মি পাবলিক স্কুল, বালিগঞ্জ।
এই ৬ জনের সঙ্গে আজ ঠিক সকাল ৬টা থেকে ১৫ মিনিট করে আমনে সামনে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। শুধু আলোচনা নয়। বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা, সামাজিক অবক্ষয় নিয়েও সরাসরি কথা রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের সঙ্গে।
কিভাবে মিলল অ্যাপয়েনমেন্ট? রাজভবনের ওয়েবসাইটে দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করে নাম এন্ট্রি করানো। তারপর একটা ফোন কল গেল এদের কাছে। কী বলতে চাও রাজ্যপালকে? সমাজের কোন দিকটা তুলে ধরতে চাও? উত্তর ভালো হলেই আমনে সামনেতে যোগদানের সুযোগ।
আর্মি পাবলিক স্কুলের ঐশিকা সিনহার বাড়তি পাওনা, তার নিজের পাড়া নিউ আলিপুরের একটি বস্তির ৫ থেকে ১২ বছরের মেয়েদের নিয়ে তার নিজের মাইক্রো স্কিম নিউ আলিপুর 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও'। সেই স্কিমের কথা শুনেই বেজায় খুশি রাজ্যপাল অনলাইনে সঙ্গে সঙ্গে ঐশিকার অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করলেন ১৫ হাজার টাকা।
'তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে কথা বলে অনেক কিছু শিখছি। জানছি। বুঝছি। ওদের প্রচুর আত্মবিশ্বাস। তরুণ প্রজন্মের নিজস্ব কিছু মতাদর্শ আছে। যা সমাজ গঠনে সহায়ক'।
তিনি আরও বলেন, 'কাল কিছু অভিযোগ পেয়েছি কিছু প্রাইভেট কলেজ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পরেছে। এদের অ্যাফিলিয়েশন আপাতত স্থগিত রাখতে বলেছি। অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা। এখনই কমিটি গঠন করছি না। আগে তদন্ত রিপোর্ট আসুক'।
রাজ্যে কোনোভাবেই হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখনও কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
রাজ্যের সাবজেক্ট নিয়ে অহেতুক হস্তক্ষেপ রাজ্যপালের। মুখ্যমন্ত্রীর তোলা এই অভিযোগ খন্ডন করলেন রাজ্যপাল। দুই সাংবিধানিক সহকর্মীর মধ্যে কী নিয়ে বা কী ধরনের কথা হবে, তা পাবলিক ফোরামে আলোচনার বিষয় নয়।
ব্রাত্য বসুর অভিযোগ ছিল বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য বিল দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখেছেন রাজ্যপাল। উত্তরে আনন্দ বোস বললেন 'হ্যা। কিন্তু তার বাইরে আর কিছু বলব না'।
আজ বিধানসভায় সার্চ কমিটির মাধ্যমে উপাচার্য নিয়োগের বিল আসছে। এ নিয়ে রাজ্যপাল বলেন, 'আইনসভা কী বিল আনবে, তা নিয়েই আইনসভাই সিদ্ধান্ত নিক। সেটাই সঠিক এবং যুক্তিসঙ্গত হবে'।