মমির মুখে সোনার জিভ, বিস্মিত প্রত্নতত্ত্ববিদ
একে তো এর বয়স দু'হাজার বছর। তার উপর তার মুখের ভিতরে পাওয়া গিয়েছে একটি সোনার জিভ (2,000-year-old mummies with golden tongues)।
মমি হল ওষুধে মাখানো কাপড়ে জড়ানো মৃতদেহ। মৃতদেহ যাতে প্রাকৃতিক ভাবে ধ্বংস না হয়ে যায় বা ক্ষয় হওয়া থেকে রক্ষা পায় তাই এই ব্যবস্থা।
মমি তৈরির পদ্ধতি খুব আকর্ষণীয়। প্রাচীন মিশরীয়রা কয়েকটি ধাপে মমি বানানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেন।
প্রথমে মৃতব্যক্তির নাকের মাঝে ছিদ্র করে মাথার ঘিলু ও মগজ বের করা হত। মৃতদেহের পেট কেটে নাড়িভুড়ি ইত্যাদি বিভিন্ন পচনশীল অঙ্গ বের করা হত। তারপর পেট সেলাই করে দেওয়া হত। পেট সেলাই করতে গিয়ে পেটের ভেতর হাওয়া না ঢুকে যায়, সেটা দেখতে হত। চল্লিশ দিন পর লিনেনের কাপড় দিয়ে পুরো দেহ পেঁচিয়ে ফেলা হত।
কিন্তু মমিতে কেন সোনার জিভ? প্রত্নমহলের জল্পনা, এই মৃত মানুষটি যাতে পাতালে গিয়ে দেবতা অসিরিসের (the court of the god Osiris) সঙ্গে কথা বলতে পারেন, সেই জন্যই হয়তো তাঁকে সোনার জিভ দেওয়া হয়েছিল। যখন মৃতদেহটিকে মামিফায়েড করা হয়েছিল, তখনই জিভটি বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এই সোনার জিভ-যুক্ত মমির করোটির বেশির ভাগই অটুট আছে বলে জানিয়েছেন প্রত্নগবেষকরা। তাঁরা এ-ও জানিয়েছেন, মাটি থেকে বের করা অন্য মমিগুলি এতটা ভাল অবস্থায় না থাকলেও এদের সবগুলির পাথরের মুখাবরণ মোটামুটি ঠিকই আছে। ফলে, জীবদ্দশায় এঁরা কে কেমন দেখতে ছিলেন, সেটা অনেকটাই বোঝা যাচ্ছে।
এই সোনার জিভ ছাড়াও একটি মমির মাথায় সাপ খোদাই করা সোনার মুকুট মিলেছে। মিলেছে বুক-জোড়া সোনার হার, যেখানে বাজপাখি খোদাই করা।