Anubrata Mondal: ২ বছর উপোসি জিভ! বাড়ি ফিরেই ভাত-ডাল-পোস্তবড়ায় প্রাণ ভরিয়ে `কেষ্টভোগ`...
প্রসেনজিত্ মালাকার: দীর্ঘ দু'বছর পর বাড়ি ফিরে, নিজের প্রিয় পোস্ত-ভাত খেলেন অনুব্রত মণ্ডল। খেলেন বাড়ির লোকেদের রান্না করা খাবার।
অনুব্রত মণ্ডলের ভাই প্রিয়ব্রত মণ্ডল বলেন, ‘দাদার শরীরটা ভালো নেই। বাড়িতে রান্না করা খাবার খেয়েছেন। ভাত-মাছ-পোস্ত বড়া খেয়েছেন দুপুরে।’ পোস্ত যে অনুব্রত মণ্ডলের অত্যন্ত প্রিয়, তা সকলেরই জানা। অতীতে বীরভূমের দলীয় কার্যালয়ে কোনও ভোজ হলে পাতে পোস্ত পড়ত বাধ্যতামূলকভাবে।
কেষ্টর ঘনিষ্ঠদের দাবি, বাড়িতে থাকাকালীন তিনি প্রতিদিন পোস্ত খেতেন। কিন্তু সুদূর তিহাড়ে বদলে গিয়েছিল অনুব্রতর খাবারের মেনু। বাড়ি ফিরতেই প্রথম দিনেই তার পাতে পড়ল প্রিয় খাবার।
১৮ মাস পর তিহাড় জেলের বাইরে অনুব্রত মণ্ডল। আঠারো মাসেই ভোলবদল। এক পুজোর আগে গ্রেফতার। আরেক পুজোর আগে মুক্তি। গ্রেফতারির আগে ছিল ১১০ কেজি ওজন। এখন মেদ ঝরে কেষ্টর নয়া লুক। ওজন ৭৯ কেজি। মঙ্গলবার ভোট পাঁচটায় দিল্লি থেকে বিমানে দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছন অনুব্রত। সেখান থেকে রওনা দেন বাড়ির উদ্দেশ্যে।
অন্যদিকে, মঙ্গলেই প্রশাসনিক বৈঠক করতে বীরভূমে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বীরভূমে প্রশাসনিক বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে অনুব্রত প্রসঙ্গে নীরব-ই রইলেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বলেও খবর। অর্থাত্ কেষ্ট 'দর্শন' না করেই কলকাতা ফিরলেন মমতা।
২০২২ সালের ১১ অগাস্ট গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডিও। পরের বছর তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকেও গ্রেফতার করে ইডি। এর পর তিহাড়ে ঠাঁই হয়েছিল বাবা-মেয়ের।