Indian Army: চিনা আগ্রাসন মাথায় রেখে সীমান্তে সেনা আধুনিকীকরণ, যুদ্ধের আগাম প্রস্তুতি ভারতের
নিজস্ব প্রতিবেদন: চিনা আগ্রাসনের (Chinese aggression) মাঝেই সিকিম (SIKKIM) ও লাদাখ সীমান্তে (Ladakh Border) সেনার আধুনিকীকরণে জোর। সেই ১৯৮০ সাল থেকে নিয়োজিত মান্ধাতা আমলের যুদ্ধযানগুলির বদলে এবার অত্যাধুনিক ইনফ্যান্ট্রি কমব্যাট ভেহিকেল (Infantry Combat Vehicle) কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থলসেনা (Indian Army)।
উচ্চ অক্ষাংশে কঠিন পার্বত্যভূমিতেও মসৃণ ব্যবস্থাপনায় সাহায্য ,করবে নয়া এই যুদ্ধযানগুলি। সূত্রের খবর, মোট ১৭৫০টি নয়া যুদ্ধযান কেনা হবে। যার মধ্যে ৫৫ শতাংশই হবে বন্দুক ভার্সানসহ। বাকিগুলি বিশেষ যুদ্ধযান থাকবে।
এদিকে লাদাখ সীমান্তে চিনা আগ্রাসনের কথা মাথায় রেখে ৩৫০টি হালকা ট্যাঙ্ক কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় সেনা। ইনফ্যান্ট্রি কমব্যাট ভেহিকেলের মাধ্যমে শত্রুপক্ষের একেবারে সামনে গিয়ে লড়াই করা যায়।
সেনা আধিকারিকরা জানান, মেক ইন ইন্ডিয়া ও আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের আওতায় এই যুদ্ধযান কেনার জন্য বৃহস্পতিবার রিকুয়েস্ট ফর ইনফরমেশন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সেনা।
অস্ত্র নির্মাতাদের কাছে হাতিয়ারের তথ্য জানতে চেয়ে ফৌজ জানিয়েছে, হালকা ট্যাঙ্কগুলির সঙ্গে অত্যাধুনিক হাতিয়ার সংযুক্ত করার মতো ব্যবস্থা থাকতে হবে। জলে ও স্থলে কাজ করতে সক্ষম হতে হবে ওই যানগুলিকে।
প্রসঙ্গত, ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল বিপিন রাওয়াত জানান, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনার অবস্থান বদলে ফেলেছে চিন। তিব্বতের পাহাড়ি লড়াই করতে বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। পার্বত্য এলাকা লড়াই করতে আমাদের জওয়ান পারদর্শী। কিন্তু চিনের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি তেমন নয়। মূলত সমতল এলাকা থেকে চিনের সেনারা আসে।
গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর চিন বুঝতে পেরেছে, পাহাড়ি এলাকায় লড়াইয়ের জন্য লালফৌজের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ নেই। সেকারণেই লাদাখে নিয়ন্ত্রণ বরাবর সেনার অবস্থান বদলের সিদ্ধান্ত।