মা দূর্গার এবার `ঘোটক`-এ আগমন, `দোলায়` গমন, শাস্ত্র মতে জানুন এর ফলাফল
দেবী দূর্গা সিংহবাহনী৷ দেবীর গমনাগমন রবিবার বা সোমবার হলে তাঁর যানবাহন হয় গজ অর্থাত্ হাতি৷
মা দূর্গার গমনাগমন শনিবার বা মঙ্গলবার হলে তিনি চড়েন ঘোটকে অর্থাত্ ঘোড়ায়৷
বৄহস্পতিবার বা শুক্রবার হলে দেবী দূর্গা দোলায় যাতায়াত করেন৷
বুধবার হলে মা দূর্গার যাতায়াতের যানবাহন হয় নৌকা৷
২০১৮ সালে দূর্গাপুজোয় এবার মহাসপ্তমী পড়েছে ১৬ অক্টোবর, অর্থাৎ ২৯ আশ্বিন, মঙ্গলবারে। শাস্ত্র মতে, সেদিন দেবীর আগমন হচ্ছে 'ঘোটক'-এ। অর্থাৎ এবছর দেবী আসছেন ঘোড়ায়।
শাস্ত্র মতে, দেবী দূর্গার গমনাগমন 'ঘোটক'-এ হলে চরম বিশৄঙ্খলা এবং ক্ষয়ক্ষতি দেখা দেয় মর্তে৷ এক কথায় একে বলা হয়ে থাকে "ছত্রভঙ্গন্তরঙ্গমে"৷ শাস্ত্র মতে, দেবীর 'ঘোটক'-এ গমনাগমন করেন মঙ্গলবার ও শনিবার৷ মঙ্গল গ্রহের সেনাপতি, তেজস্বী ও বীরদর্পী৷ আর শনি হল কূট বুদ্ধি সম্পন্ন, প্রায়শই অনিষ্টকারী৷ তাই দেবীর ঘোটকে গমনাগমন হলে এই দুই গ্রহাধিপতির প্রভাব পড়ে মর্তে৷
এবার দশমী পড়েছে ১৯ অক্টোবর, অর্থাৎ শুক্রবার। শাস্ত্র মতে, এবার মা দূর্গার গমন হচ্ছে দোলায়।
শাস্ত্র মতে, "দোলাং মড়কাং ভবেৎ" অর্থাৎ দোলায় গমনের ফল 'মড়ক'। দেবী দুর্গা যদি দোলায় চড়ে গমনাগমন করেন তার ফল মর্ত্যে বহু মৄত্যু ৷ এই বহু মৄত্যু হতে পারে প্রাকৄতিক দুর্যোগের কারণে কিংবা যুদ্ধ হানাহানির কারণে। দূর্গা যদি বৄহস্পতিবার বা শুক্রবার যাতায়াত করেন, তাহলে তাঁর যানবাহন হয় দোলা৷দেবগুরু বৃহস্পতি হলেন বিদ্বান, বুদ্ধিমান এবং চিন্তাশীল৷ ফলে সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সময় নেন৷ শাস্ত্র বলে, অতি বিলম্বের ফল ভালো হয় না, নানাবিধ বিঘ্ন এসে উপস্থিত হয়৷ অন্যদিকে শুক্রাচার্য হলেন দৈত্য গুরু৷ তিনিও বিদ্বান ও তেজস্বী৷ কিন্তু, তাঁর সিদ্ধান্ত গ্রহণ এতটাই দ্রুততার সঙ্গে হয় যে প্রায়শই তাঁকে সমস্যায় পড়তে হয় ৷ অতি বিলম্বের সিদ্ধান্ত গ্রহণ যেমন সুফল দেয় না, তেমনই অতি দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণও কুফলের কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ এই দুই গুরুর চারিত্রিক প্রভাবে প্রভাবিত হয় দেবীর গমনাগমন৷ দুর্গার দোলায় যাতায়াতের ফলে মর্ত্যলোকে নষ্ট হয় স্থিরতা, ঘটে বহু মৄত্যু ৷