নাগরিকপঞ্জির তথ্য যাচাইয়ে সবচেয়ে বেশি অসহযোগিতা পশ্চিমবঙ্গের, ভুক্তভোগী মানুষ
অসমের নাগরিকপঞ্জির তথ্য যাচাই প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে কম সহযোগিতা পাওয়া গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের কাছ থেকে। এমনটাই জানালেন রেজিস্ট্রার জেনারেল ও জনগণনা কমিশনার শৈলেশ।
নাগরিকপঞ্জির গোটা প্রক্রিয়ায় নজরদারি করেছেন শৈলেশ। তাঁর কথায়, ''নাগরিকপঞ্জির তথ্য যাচাইয়ের কাজে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে তদারকির জন্য আধিকারিকদের নিয়োগ করেছিলাম। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি''।
শৈলেস বলেন, ''পশ্চিমবঙ্গই সবচেয়ে বেশি অসহযোগিতা করেছে। তাদের কাছ থেকে কোনও নথি মেলেনি। তথ্য পেতে প্রচণ্ড পরিশ্রম করতে হয়েছে। কিন্তু নথি পাইনি। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে সন্তোষজনক সাড়া মেলেনি''।
শৈলেশের কথায়, ''পশ্চিমবঙ্গের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিওবার্তায় এনিয়ে আলোচনা হয়েছিল। একমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই আমারনিজের কর্মীদের কাজে লাগিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও নথিই পাইনি''।
কত সংখ্যক নথি মেলেনি? শৈলেশের জবাব, সংখ্যাটা বেশ ভালই।
শৈলেশের মন্তব্য বেশ তাত্পর্যপূর্ণ। অসমে নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতায় আসরে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ তাঁর রাজ্যের বিরুদ্ধেই উঠেছে অসহযোগিতার অভিযোগ।
সরকারি সূত্রে খবর, ১.১৪ লক্ষ নথির মধ্যে মাত্র ৬ শতাংশ যাচাই করে ফেরত দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া বিহার, চণ্ডীগড়, ছত্তিসগঢ়, মণিপুর ও মেঘালয়ে ২ থেকে ৭ শতাংশ নথি যাচাইয়ের পর ফেরত পেয়েছে নাগরিকপঞ্জি কর্তৃপক্ষ।
রাজ্য সরকারগুলি সহযোগিতা না করায় ৫লক্ষ লোকের নাম চূড়ান্ত খসড়ায় তোলা সম্ভব হয়নি।
৩০ জুলাই অসমে প্রকাশিত হয় নাগরিকপঞ্জির খসড়া। ৪০ লক্ষ অসমবাসীর ঠাঁই হয়নি ওই খসড়ায়।