ত্রিপুরায় `সরকার` রাজ ফেলে `বাহুবলী` সুনীল দেওধর
প্রচারের আলোয় আসেন না কোনওদিনই। ত্রিপুরায় নীরবেই দলকে ভোট বৈতরণী পার করিয়ে দিয়ে 'ম্যান অব দ্য ম্যাচ' সুনীল দেওধর।
দলের প্রচারমুখ নরেন্দ্র মোদী। তবে শুধু মুখ দিয়ে ভোটে জেতা যায় না। সংগঠনের জোর না থাকলে ইভিএমে প্রভাব পড়ে না। সেটা অমিত শাহের থেকে আর কে-ই বা ভাল বোঝেন! আর তাই দক্ষ সংগঠক সুনীল দেওধরকে ত্রিপুরার দায়িত্ব দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
ভোটের ফলই বলে দিচ্ছে, কৌশলে সফল অমিত শাহ। বাম রাজ্যে রীতিমতো সফল 'পদ্ম চাষ' করেছেন এই আরএসএস নেতা।
২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে বারাণসীতে মোদীর নির্বাচনী ম্যানেজার ছিলেন ৫২ বছরের দেওধর।
ত্রিপুরার দায়িত্ব পাওয়ার পর রাজ্য সভাপতির পদে আরএসএসের বিপ্লব দেবকে বসান সুনীল দেওধর। ত্রিপুরার ভূমিপুত্র বিপ্লব দেব। তবে দিল্লিতে রাজনীতি করতেন তিনি।
প্রায় ৫০০ দিন ধরে ত্রিপুরায় ঘাঁটি গেড়ে পড়েছিলেন সুনীল দেওধর। সেই পরিশ্রমের ফল মিলল শনিবার ইভিএম খুলতেই।
ত্রিপুরার প্রতিটি প্রান্তে আরএসএস-এর সংগঠন বিস্তারে মন দিয়েছিলেন সুনীল দেওধর।
দেওধরের কথায়, ''ত্রিপুরায় মানিক সরকারের বিকল্পের খোঁজে ছিলেন মানুষ। তাঁর খারাপ প্রশাসনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন তাঁরা।''