পদ্মের কাঁটা সরালেও ইলিশের কাঁটা বাছতে হিমশিম খেয়েছিলেন অটল
জনসঙ্ঘ থেকে সবে নতুন দল ভারতীয় জনতা পার্টি তৈরি করেছেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। তখন সংগঠন তৈরির লক্ষ্যে রাজ্যে রাজ্যে ঘুরছেন।
আটের দশকে তিল তিল করে বিজেপিকে গড়ে তুলছেন অটল বিহারী বাজপেয়ী ও লালকৃষ্ণ আডবাণী।
কার্যত শূন্য থেকে একটা দলকে টেনে তোলার অদম্য জেদ বাজপেয়ীর। সেই দল আজ সর্বভারতীয় হলেও শুরুর দিনগুলি এমন ছিল না।
মুর্শিদাবাদেও সংগঠন তৈরির লক্ষ্যে এসেছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। তখন মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের দাপট। তা সত্ত্বেও বহরমপুরে বাজপেয়ীর বক্তৃতা শুনতে ভিড় জমেছিল।
বহরমপুরে বোস্টাল গেস্ট হাউসে একটা দিন থেকেছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। তাঁর দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন ভিএইচপি-র নেতা কুশল কুণ্ডু।
স্মৃতিচারণা করে কুশলবাবু জানালেন, এক বিজেপি নেতাই অটল বিহারী বাজপেয়ীর দেখাশোনার দায়িত্ব সপেঁছিলেন। ওনার সঙ্গে গোটা দিন থাকার সুযোগ হয়েছিল। (ছবিটি পুরুলিয়ার একটি সভার)
সংগঠন বাড়াতে কর্মীদের দাওয়াই দিয়েছিলেন, এক প্যার রেল মে, ঔর এক প্যার জেল মে। অর্থাত্ সংগঠন বাড়াতে গেলে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হবে। আর কর্মসূচি নিলে জেলে পুরবে পুলিস। (ছবিটি পুরুলিয়ার একটি সভার)
দুপুরে মধ্যাহ্নভোজনে অটল বিহারী বাজপেয়ীকে দেওয়া হয়েছিল বাঙালি খাবার। পাতে পড়েছিল পদ্মার ইলিশ।
বাঙালির প্রিয় রসনা খাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বিজেপির তত্কালীন সর্বভারতীয় সভাপতি। দু'হাতে চেষ্টা করেও কাঁটা ছাড়াতে পারেননি। অতঃপর ক্ষান্ত হন। বলেন, আমার দ্বারা হবে না।
সব পদই চেখে দেখেছিলেন বাজপেয়ী। বরাবরই অল্প খেতেন। রাতে খেয়েছিলেন রুটি, তরকারি।